সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার ব্যাংকিং খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ইতিবাচক প্রবণতায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে সূচক। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক লেনদেন কমেছে। এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মূল্য সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই’র বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টির, দর কমেছে ১২৬টির। আর দর অপরিবর্তিত ছিল ৫০টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় ডিএসইতে ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৫টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৬৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৬৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩৯ কোটি টাকা।
দিনশেষে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ২৩.৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৬২৮৬.৭৫-তে স্থিতি পায়। এদিন শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৩.৪০ পয়েন্ট। তবে দিনশেষে ব্লু-চিপ খ্যাত ডিএস-৩০ সূচক ১১.৭৬ পয়েন্ট কমে ২২৭৮- তে স্থিতি পায়।
লেনদেন শেষে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। এ কোম্পানিটির ৪৫ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টার্নওভারে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, প্রতিষ্ঠানটির ২২ কোটি ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্যে দিয়ে টার্নওভারের তৃতীয় অবস্থানে ছিল বিডি থাই।
টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- কনফিডেন্স সিমেন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক, গ্রামীণফোন, গোল্ডেন হার্ভেস্ট এগ্রো, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, নূরানী ও সিটি ব্যাংক।
এদিকে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, দর কমেছে ৯৭টির। আর দর অপরিবর্তিত ছিল ৩০টি প্রতিষ্ঠানের। এ সময় সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এদিকে, দিনশেষে শেষে সিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক সিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৫৬.৮৯ পয়েন্ট বেড়েছে।