সংবাদ শিরোনাম
জৈন্তাপুর সীমান্ত: চোরাচালানের অভয়ারণ্যে,  আসছে গরু,মহিষ, মাদকদ্রব্য:শীর্ষে নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়ন  » «   মানুষ আজকে শেখ হাসিনাকে এক মিনিটের জন্য ক্ষমতায় দেখতে চায় না-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়  » «   দেশের সাধারণ মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন চায় : কাইয়ুম চৌধুরী  » «   যুক্তরাজ্যে মসজিদের না‌মে ওয়ার্ক পার‌মিটের কথা ব‌লে অন্তত ১৭ জ‌নের কাছ থে‌কে বিপুল পরিমাণ টাকা নেওয়ার অ‌ভি‌যোগ  » «   জৈন্তাপুরে ভারতীয় ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ঔষধ জব্ধ সহ ২ জন গ্রেফতার  » «   সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সালুটিক এলাকায় সড়ল দুর্ঘটনায় নিহত ২  » «   বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলর সদস্য হলেন মেয়র আরিফ  » «   জৈন্তাপুরে স্বামী-কে হত্যা চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রী মনিরা বেগম সহ যুবক গ্রেফতার  » «   জৈন্তাপুর সীমান্তে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় ১৫ টি মহিষ, ১৮টি গরু সহ ৩৭ বস্তা চিনি জব্ধ ও ৪ জন আটক  » «   জৈন্তাপুরে মডেল থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে প্রাইভেট গাড়ী সহ ভারতীয় ২৯৭ পিস মোবাইল সেট আটক  » «   সুনামগঞ্জে ঢাকাগামী আল-মোবারাকা পরিবহণের চাপায় এক নারী নিহত  » «   ওসমানী মেডিকেলের চতুর্থ শ্রেনীর ২০জন কর্মচারীকে বিদায় সংবর্ধনা  » «   সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাথে ইবনে সিনা হাসপাতাল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   » «   ওসমানীনগরে মহাসড়কে ঝরল মা-সন্তানের প্রান  » «   ওসমানীনগরে ধর্ষিতা কিশোরীর সন্তান প্রসব, ৪ মাসেও গ্রেফতার হয়নি ধর্ষক!  » «  

আজ হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস

22সিলেটপোস্ট রিপোর্ট::আজ ৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধে মুখে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ জেলা। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও হবিগঞ্জের অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণবাসন ও বীরাঙ্গনাদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের একটাই দাবি রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই।

১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় তেলিয়াপাড়া ডাকবাংলো থেকে সারা দেশকে মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। ৩নং সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন তৎকালীন মেজর শফিউল্লাহ। তাঁর নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্তানিদের সাথে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিবাহিনী জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছে। তখন মুক্তিযোদ্ধারা তিন দিক থেকে আক্রমণ শুরু করে। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকসেনাসহ রাজাকাররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতা মো. শাহাজাহান মিয়াসহ মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ সদর থানা কম্পাউন্ডে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে জেলার ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধে আহত হন ৩৭ জন মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া নিরীহ অসংখ্য নর-নারী হানাদার বাহিনীর নির্মম নিষ্ঠুররতার শিকার হন। এসব শহীদদের জন্য তেলিয়াপাড়া, ফয়জাবাদ, কৃষ্ণপুর, নলুয়া চা বাগান, বদলপুর, মাখালকান্দিতে বধ্যভূমি নির্মিত হয়।

হবিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও তরুণ প্রজন্মের দাবি রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চাই। পাশাপাশি অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণবাসন এবং বীরঙ্গনাদের তালিকা প্রকাশ করা প্রয়োজন।

এদিকে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কমান্ডার মো. আব্দুস সহিদ জানান, ৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে বিজয় মিছিল বের করবে হবিগঞ্জ সদর থানা কমান্ডার। আজ বুধবার সকাল ১০টায় হবিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামন থেকে এ মিছিলটি বের হবে। মিছিল শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.