জৈন্তাপুর প্রতিনিধি::ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছে জৈন্তাপুর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি। বৃহস্পতিবার বিকেলে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রাঙ্গনে উক্ত মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মানববন্ধনে একদল দুর্বৃত্ত ধারালো ও আগ্মেয়াস্ত্র সহকারে হামলা চালিয়েছে। এ হামলা দুইজন গুলিবিদ্ধ ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মানবন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে উপস্থিত উত্তেজিত জনতা আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া শুরু করে এবং কোন ধরনের টালবাহানা ছাড়া দোষীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে। তখন বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত অস্ত্র সহকারে মানববন্ধনে হামলা করে এবং এলোপাথাড়ি গুলি করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং দুইজন গুলিবিদ্ব হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহতদেরকে ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধনে জৈন্তাপুর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাসলিমা বেগম’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন। এছাড়া মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠক, মানবাধিকার কর্মী ছাড়াও জৈন্তাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, আইনের শাসন না থাকায় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক অনাকাঙ্খিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেই চলেছে। স্বৈরাচারি অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে অপরাধীরা বারবার ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় অন্যরা অপরাধে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। যা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। তনু, মিতু হত্যার সঠিক বিচার হলে আমাদেরকে নুসরাত জাহান রাফির লাশ বহন করতে হতো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন মেধাবী ছাত্রীর প্রতি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং দৃষ্টান্তমুলক শাস্থির দাবীতে ছাত্রসমাজকে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। আমরা আর নুসরাত জাহান রাফির মতো কোন বোনকে হারাতে চাইনা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও উপস্তিত ছিলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্ট অব বাংলাদেশ সিলেটের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমজেএইচ জামিল, বিশিষ্ট সমাজ কর্মী সুলায়মান আল মাহমুদ, জৈন্তাপুর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে তানজিনা বেগম, জাকির হোসেন, হাফসা বেগম, মো. দেলোয়ার হোসেন রনি, আমিনা আক্তার, ফয়সল আলম, তাজুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহরিয়ার হোসেন রাহি, আনোয়ার হোসেন, মো. ওয়াহিদ আলি সহ প্রমুখ।