আসমা অধরা::
মৌসুমি হাওয়া নাও উড়িয়ে ঝরাপাতা
নিজেকে প্রাচীন বটগাছ ভাবতেই
শেকড়ের ভারে প্রোথিত হয়ে যাওয়া
খুঁটে খুঁটে যাও হাওয়া, পরিযায়ী পক্ষীর ঠোঁট
বৃক্ষের কোনো রক্ত নেই, নেই চিৎকার
নেই উল্লাস, নেই নেই পায়চারীর অভিলাষ।
তারপর, তেপান্তরের মাঠ উড়ে গেলে
স্বপ্নের পিঠে গজাবে ইন্দ্রধনুশ ডানা
কুচো পর ঝরে যাবে, যাও উড়ে
ঘুরে ঘুরে অন্য কোন বাদাড়ে, মৌসুম এখন
অপরূপা টিপ নির্জন আগুনে যাবে পুড়ে।
বিষণ্ণ জোছনা, পর ঝরে যাওয়া ডানা নিয়ে
উড়ে যাও মেঘের মতন, নিয়ে কেমন করা মন
পান করো মদির তরল ঘুমঘোর কোনো-
তবু যদি অনিদ্রা হয়ে যায়, ব্যাথাতুর চুম্বনের ভার ফেলে দিয়ে
ফিরে এসো এইখানে, যেথায় শেকড়ের ভার লয়ে
ঝুঁকে গেছে অগ্নিমুখো সেতার, মাটিতে গাঁথা নিশ্চিন্ত ঘর যার
তার ডানা নেই, নেই উড়ান উড়াল, তবুও বটবৃক্ষ
বাজিয়েই চলেছে ধীরলয়ে এক নহলি সেতার।