
তবে এই প্রচলিত ইফতারের কিছু পুষ্টিগুণও রয়েছে। যেমন:

ছোলা: এটি একটি পুষ্টিকর খাবার, বিশেষ করে রমজান মাসের জন্য। ১৫০ গ্রাম ছোলাতে প্রায় ১৫০ কিলোক্যালোরি শক্তি আছে। এর থেকে আমাদের দৈনিক খাদ্য-আশের চাহিদার প্রায় ৪০ শতাংশ পূরণ হয়। এছাড়াও এতে আছে প্রচুর প্রোটিন ও মিনারেল।
খেজুর: সেহেরি ও ইফতার দুটি সময়ই খেজুর খুব পুষ্টিকর একটি খাবার। এতে আছে glucose ও fructose এর খুব চমৎকার একটি সংমিশ্রন। অর্থাৎ খেজুরের একটি অংশ থেকে আমরা অতি দ্রুত শক্তি পাই, আবার কিছু অংশ ধীরে ধীরে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শরীরে শক্তি প্রদান করতে থাকে। এছাড়া খেজুরে আছে প্রচুর k+ যা আমাদের পানিশুন্যতা রোধ করতে সহায়তা করে।
দই-চিড়া: এটি রোজায় একটি পুষ্টিকর এবং উপাদেয় খাবার। এতে আছে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট এর সুন্দর সংমিশ্রণ। ভিন্নধর্মী খাদ্যাভ্যাসের কারণে রোজায় আমাদের অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের হজমের সমস্যা দেখা দেয়। ইফতারে দই আমাদের digestive health কে maintain করতে সহায়তা করে। দই এ আছে probiotic যা আমাদের অন্ত্র ও খাদ্যনালীর জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের সতেজ রাখতে সহায়তা করে যা রোজায় অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া দই এ আছে trans fat এবং carbohydrate এবং আছে প্রচুর ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম।
লেখক:
চৌধুরী তাসনীম হাসিন
চীফ নিউট্রিশনিস্ট
ইউনাইটেড হাসপাতাল
চৌধুরী তাসনীম হাসিন
চীফ নিউট্রিশনিস্ট
ইউনাইটেড হাসপাতাল