
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে হোসেনপুর গ্রামের একটি হাওরের পানিতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহত রাসেল উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের মজমিল আলীর পুত্র। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ইয়ারদৌস হাসান, ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেল বুধবার (১৫ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে সে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর কোন সন্ধান না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ১৬ জুলাই কুলাউড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। নিখোঁজের একদিন পর শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে আটটায় হোসেনপুর গ্রামের ডাব্লিউ চৌধুরীর বাড়ির পাশের গোয়ালজুর হাওরের পানিতে তাঁর মৃত লাশ পাওয়া যায়।
নিহত রাসেলের বড়বোন নাজমিন আক্তার জানান, বুধবার রাতে আমার ভাই দোকান থেকে বাড়ি ফিরে খাওয়া শেষে পরিবারের সবার সাথে হাসিখুশি করে কথা বলে। রাসেল প্রায়শই ধূমপান করতো। রাত ১১ টায় তার স্ত্রীকে দরজা খোলা রাখতে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তখন বাড়ির পাশে একটি কালভার্টে বসে সিগারেট খাচ্ছিলো তখন স্থানীয় এলাকার দু’জন ব্যক্তি তাকে দেখতে পায়। ঘটনার দিন রাতে ওই এলাকায় পিডিবির বিদ্যুতের লাইন চুরি হয়েছে। আমাদের ধারণা, ওই সময় বিদ্যুতের লাইন চুরির সময় হয়তো আমার ভাই চুরদের দেখে ফেলে। তাই তারা চক্রান্ত করে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চাই।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাসেল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। তবে এ ঘটনা রহস্যময় মনে হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ তদন্ত না করে কিছু বলা যাবেনা। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন