জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের পাগলা জগন্নাথপুর আউশকান্দি ভায়া ঢাকা মহাসড়ক সংস্কার কাজ চলছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজ ভেঙ্গে নতুন ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলিতেছে। বেইলি ব্রিজের পাশে যানবাহনের চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। পর পর দুই বার বন্যার পানি বিকল্প সড়কের উপর দিয়ে চলে যাওয়ায় রাস্তাটি ভেঙ্গে মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাঁও গ্রাম সংলগ্ন একটি ব্রীজের কাজ চলমান। জনসাধারনের চলাচলের জন্য একটি বিকল্প সড়ক নিমার্ণ করা হয়েছিল। সড়ক সংস্কার ও ব্রীজ নির্মাণের কাজ করেছিল একটি নামি দামি প্রতিষ্ঠান। সে সময় বিকল্প সড়কটি চরের বালু দিয়ে নির্মাণ করায় এ ডাইভারশনের উপর যানবাহন চলাচল করলে ধ্বসে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করেছিল। সে সময় ঝুঁকিপূর্ণ ডাইভারশন নির্মাণ কাজ দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা কর্তৃপক্ষে দায়ী করেছিল। বিকল্প এ সড়কের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হলে মাঠি ধেবে যাওয়ার সম্ভবনা ছিল। বার বার কাজ করে বিকল্প সড়কটিতে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলা হয়েছিল। বর্তমানে দুই দফা বন্যার পানি রাস্তা উপর দিয়ে চলাচল করায় রাস্তা ভেঙ্গে গর্ত সৃষ্টি হয়। ঢাকা– সুনামগঞ্জ রোডে রানীগঞ্জ বাজার হয়ে অল্প সময়ে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি প্রায় এক সাপ্তাহ বড় যানবাহন ছাড়া ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে না। জীবনে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করলেও দূর্ঘটনা শিকার হচ্ছে গাড়িগুলো। গত দুই তিন দিনে কয়েকটি গাড়ি দূর্ঘটনার শিকার হয়।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক সরকারী কর্মকর্তা জানান, এ রাস্তা দিয়ে সব সময় আমি চলাচল করি। এটা এখন রাস্তা নয় মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত চোঁখের সামনে দূর্ঘটনা ঘটছে। বিকল্প সড়কটি সংস্কার করা জরুরী।
স্থানীয়রা জানান, বিকল্প রাস্তাটি বালু মাটি দিয়ে তৈরী করা হয়েছিল। এর মধ্যে বন্যার পানি চলাচল করায় রাস্তাটির ইট সরে গিয়ে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। আর কোনো বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই লোকজন চলাচল করছে।যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের উপ–নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিকল্প রাস্তার উপর দিয়ে বন্যার পানি চলে যাওয়া রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। বন্যার পানি কমতে শুরু করায় আমরাও রাস্তার কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ স্থানটি মেরামত করা হবে।