সিলেটপোস্ট ডেস্ক::চার মাস পর মাঠ ও ঘাসে ফিরলেন ক্রিকেটাররা। গত ১৯শে মার্চ থেকে দেশে সব ধরনের ক্রিকেট স্থগিত রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে বন্ধ ছিল অনুশীলনও। অবশেষে মুক্তির পথে টাইগারদের ক্রিকেট। গতকাল সারা দেশে ৮ জন ক্রিকেটার অনুশীলন করেছেন। আর হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলায় ক্রিকেট যেন নিয়েছে মুক্তির নিঃশ্বাস। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও ঝুঁকি নিয়েই মাঠে ফিরেছেন মুশফিকুর রহীম, মোহাম্মদ মিঠুন ও শফিউল ইসলাম। এছাড়াও খুলনায় অনুশীলন করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান, নূরুল হাসান সোহান, সিলেটে খালেদ আহমেদ ও নাসুম আহমেদ।
তবে চট্টগ্রামে তরুণ অফস্পিনার নাঈম হাসান অনুশীলন করতে পারেননি ঝড়-বৃষ্টির কারণে। অনুশীলন হয়েছে একেবারেই বন্ধ পরিবেশে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি ক্রিকেটারদের। তবে অনুশীলন শেষে মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, ‘আসলে দীর্ঘদিন পর কিছু পাওয়ার আনন্দটা সব সময় আলাদা হয়। বিশেষ করে ঘাসে পা রাখার যে অনুভূতি, যে আনন্দ তার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা নেই।’
অনুশীলন শুরু হলেও বলা কঠিন যে কবে মাঠে শুরু হবে ব্যাট-বলের সত্যিকারের লড়াই। তবে এই অনুশীলনের শুরুটাকে নতুন শুরুর প্রথম ধাপ বললেও ভুল হবে না। গতকাল দিনের শুরুতে মিঠুনের অনুশীলন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি শুরু করেন ১০টায়। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম ঠিক সাড়ে ৮টায় অনুশীলন শুরু করেন। ৩০ মিনিট রানিং করে ১ ঘণ্টার বিশ্রাম শেষে ১০টায় নেমে পড়েন ব্যাটিংয়ে। এক ঘণ্টা বোলিং মেশিনে ব্যাটিং অনুশীলন করে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। ১১টার পর ব্যক্তিগত অনুশীলনে মাঠে নামেন পেসার শফিউল ইসলাম। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠের একাডেমির ছাদে তখন দীর্ঘ দিন পর আসা সংবাদকর্মীদেরও ভিড় জমেছে। যদিও কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই। তারপরও চোখ ক্রিকেটারদের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে। অনুশীলন মিঠুন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ৪ মাস পর আজ (রোববার) মাঠে ফিরেছি। ব্যাটিং-রানিং সব কিছুই একটু কঠিন মনে হচ্ছে। এতোদিন সব ইনডোরে করেছি, এখন বাইরে। একটু সময় লাগবে। আশা করছি যতদিন যাবে আগের মতো নিজেদের পাবো।’
তবে প্রথম দিনটাতে তেমন কঠিন কিছু করার চেষ্টাও করেননি বলে জানান মিঠুন। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর। তাই নতুন কিছু করার চেষ্টা করিনি। তবে আমার কাছে ব্যাটিংয়ের চেয়ে ঘাসে দৌড়ানোটাই কঠিন মনে হয়েছে। ব্যাটিংতো শুরু করেছি। তবে সেটাও তেমন কঠিন কিছু করিনি। আশা করি ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে। আর ভয় তো আছেই। এখন যতটা সতর্ক থাকা যায় সেইভাবে করতে হবে।’ ঢাকায় বসবাসরত চার ক্রিকেটারের মধ্যে গতকাল মিরপুর মাঠে এসেছিলেন তিনজন। আজ এখানে অনুশীলনে যোগ দিবেন ইমরুল কায়েস। ঢাকায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের দেখভাল করছেন বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার। চার মাস পর ক্রিকেটারদের অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে ওদের মানিয়ে নিতে কয়েকটা দিন লাগবে। কারণ এতদিন ঘরে বন্দি থাকার পর মাঠে ওদের একটু অস্বচ্ছন্দ্য মনে হয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস ৩ চারটা সেশন শেষ করলে ওদের এই জড়তা থাকবে না। এটি সবার ক্ষেত্রেই হতে পারে। কারণ, দীর্ঘ দিন বন্দি থাকার পর বাইরে বের হলে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া কঠিনই হয়।’