জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে এখানের বন্যা কবলিত কয়েক লাখ মানুষ।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যার ভোগান্তি শেষ হতে না হতেই তৃতীয় দফা বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। কাঁচা–পাকা রাস্তাঘাট, শ’ শ’ ঘরবাড়ি বানের পানিতে ভেঙ্গে ভেসে গেছে। রাস্তা–ঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। টানা দু’দফা বন্যায় গ্রামীন সড়কগুলো ভেঙ্গে চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কের ভাঙ্গাস্থানে দেয়া হয়েছে বাঁশের সাকো। তৃতীয় দফা এ বন্যায় এসব সড়কের অস্থিত্ব বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
টানা ৪দিনের প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের কারনে তৃতীয় দফা বন্যা ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। উপজেলার উপর বহমান কুশিয়ারা সহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যেই পূর্বের বন্যার থেকে বেশি পানিতে রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। বিছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলার শহরের সাথে সব অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বহু মানুষ ঘর–বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উচুঁ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
সরকারী–বেসরকারী সব ক্ষেত্রেই শহর ও তার আশপাশের এলাকায় ত্রান বিতরণ করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষ নূন্যতম সরকারী ত্রান সহায়তা পাচ্ছে। গত ২৮ জুন থেকে ২১ জুলাই পযর্ন্ত দফায়–দফায় বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এখানের কৃষকরা। শাক–সবজীর বাগান ও আমন বীজতলা সম্পূর্নরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। ভেসে গেছে শতাধিক মাছের খামার। নতুন করে বীজ সংগ্রহ ও বীজতলা প্রস্তুতের জন্য কৃষকদের সকল পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে ৩য় দফা বন্যায়। এখন আমন ফসল চাষাবাদ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানের কৃষকরা। একদিকে মহামারি করোনা অন্যদিকে বন্যার পর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ এখন দিশেহারা।