জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির কমকর্তারা উপজেলার সকল এজেন্ট ব্যাংক নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। গ্রাহকের বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ দেখে হতবাগ এজেন্ট ব্যাংকের কমকর্তারা।
জানা যায়, উপজেলা বিভিন্ন স্থান থেকে ফারেষ্ট লাইফ ইন্সুলেন্স কোম্পানীতে বীমা করে থাকেন। বীমার টাকা তুলতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সুবিধাজনক স্থানে ব্যাংক একাউন্ড করে থাকেন। বর্তমান সরকার ব্যাংকি সেবা গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বাজার পর্যায়ে এজেন্ট আউটলেটের যাত্রা শুরু করেছে। প্রায় ব্যাংক উপজেলার প্রত্যেক বাজারে এজেন্ট দিচ্ছি। এসব এজেন্ট হওয়ার বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা সহজে পেয়ে যাচ্ছে গ্রাহকরা। এমনকি হন্ডিরমত অবৈধ কাজ থেকে ফিরে আসছে জনসাধারন। বীমা টাকা তুলতে বীমা কম্পোনীর কর্মকর্তারা যে কোন ব্যাংকে একাউন্ড করে আসলে চলবে বললেও এজেন্ট ব্যাংক থেকে একাউন্ড করেন, তাদের কাছে গেলে বলে এসব একাউন্ড দিয়ে হবে না। এজেন্ট ব্যাংক হল মুদি ব্যবসায়ী এরা গলির মধ্যে দোকানে ব্যাংক খুলে বসে আসে। এসব ব্যাংকে একাউন্ড নিয়ে আমাদের কাছে আসবেন না।
ফারেষ্ট লাইফ ইন্সুলেন্স কোম্পানীর বীমার টাকা তুলতে আসা গ্রাহক এজেন্ট আউটলেটে গিয়ে বলেন, আমি জগন্নাথপুর ফারেষ্ট লাইফ ইন্সুলেন্স কোম্পানীতে গিয়েছিলাম বীমার টাকা তুলতে। তারা বলেছিল যে কোন ব্যাংকের একাউন্ড হলে চলবে। আমি রানীগঞ্জ বাজার থেকে এজেন্ট আউটলেট মাধ্যমে একাউন্ড করেছিলাম। এ একাউন্ড তারা হাতে নেয় নাই। এমনকি এজেন্ট ব্যাংক নিয়ে বাজে মন্তব্য করে বলে এগুলোতো চোরাই ব্যবসা ফুটপাতের দোকানের মত তারা বইথাকছে। এজেন্ট একটা ব্যাংক হলনি?
বাজে মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে ফারেষ্ট লাইফ ইন্সুলেন্স কোম্পানীর জগন্নাথপুর শাখার ক্যাশিয়ার জাবেদ আলমের মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলে ফোন কেটে দেন। তার জন্য বক্তব্য জানা যায় নাই।
এ ব্যাপারে জানতে ফারেষ্ট লাইফ ইন্সুলেন্স কোম্পানীর জগন্নাথপুর সাংগঠনিক শাখার ইনচার্জ মাওলানা মুহিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যাংক নিয়ে মন্তব্য করে নাই। আমি শাখায় আসার পর দেখি তারা হল রুমে কিতা নিয়ে মাতামাতি করের। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কয়েকটি একাউন্ট পাঠিয়েছি তারা ফিরত দিয়া দিছে। এজেন্ট ব্যাংক নিয়ে বাজে মন্তব্য করি নাই এরা ফালতু হলে সরকারের অনুমোদন দিল কিভাবে। পুরো বিষয়টা আমি জানিনা অফিসে গিয়ে দেখবো।