সিলেটপোস্ট ডেস্ক::নিয়ম ভেঙে গাজীপুরের কাশিমপুর কা’রাগা’রে এক নারীর স’ঙ্গে হলমার্ক কে’লে’ঙ্কা’রির সা’জা’প্রাপ্ত ব’ন্দি তুষারের সময় কা’টা’নোর জন্য কয়েকজনকে ঘু’ষ দিয়েছিলেন। এরমধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছেন। গত ১৪ জানুয়ারি কারা মহাপরিদর্শকের কাছে দেওয়া জ্যেষ্ঠ জে’ল সুপার রত্না রায়ের প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজে রত্না রায়ের সম্পৃক্ততা দেখা গেলেও প্রতিবেদনে এই কর্মকর্তা নি’জের কোনো দায় বা অ’বহে’লার কথা উল্লেখ করেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশিমপুর কা’রাগা’র-১-এর দুজন কর্মকর্তা ও কয়েকজন কর্মচারীকে ‘ঘু’ষ দিয়েছিলেন তুষার। এরমধ্যে কা’রাগা’রের জে’লারকে ১ লাখ, ডেপুটি জে’লারকে ২৫ হাজার এবং সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর, গেট সহকারী প্রধান কা’রার’ক্ষীকে ৫ হাজার টাকা করে ঘু’ষ দেন তিনি। প্রতিবেদনে জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধাকে প্রধানত দায়ী জ্যেষ্ঠ জে’ল সুপার রত্না রায় বলেছেন, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধার অনুমতি নিয়ে পুরো ঘটনার সঙ্গে কাশিমপুর কা’রাগারের ডেপুটি জেলার মো. সাকলায়েন ছিলেন।
তিনি বলেন, ওই দিন দায়িত্ব পালনরত ডেপুটি জেলার ও কা’রার’ক্ষীদের জবা’নব’ন্দি নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন। তবে জে’লারের জবা’নব’ন্দি নেননি। এর পেছনে যু’ক্তি হিসেবে রত্না রায় বলেন, যেহেতু পুরো ঘটনা জেলারের তত্ত্বাবধানে সং’ঘ’টিত হয়েছে, তাই জে’লা’রকে না জানিয়ে ওই দিন যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের জবা’নব’ন্দি নেওয়া হয়েছে।
জেল সুপার রত্না প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে তার অ’গোচ’রে ও গো’প’নে হয়েছে। কা’রাগা’রের গেটে জে’লার’ই তাদের কারাগারে প্রবেশের অনুমতি দেন এবং ডেপুটি জেলার তাদের রিসিভ করেন, যা সিসিটিভি ফুটেজে রয়েছে। সামগ্রিক বিষয়টি ওয়াকিটকির মাধ্যমে না বলে গো’পনী’য়তা রক্ষার স্বার্থে মুঠোফোনের মাধ্যমে হওয়ায় কেউ জানতে পারেনি। তার দাবি, তাকে না জানাতেই এসব করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার (২৩ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তুষারের সময় কাটানোর ঘটনায় কা’রাগা’রের জ’ড়ি’তরা বি’ধি অনুযায়ী শা’স্তি পাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কা’রাব’ন্দি অবস্থায় নারীস’ঙ্গের ঘটনা জ’ঘ’ন্যত’ম অ’প’রাধ। কা’রাগা’রের ভেতরে এ ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। বিধি অনুযায়ী শা’স্তি পাবে অ’ভিযু’ক্ত’রা। যেই এ ধরনের কর্মকা’ণ্ডের স’ঙ্গে জ’ড়িত থাকবে, বিধি অনুযায়ী তাদের বি’রু’দ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। এরইমধ্যে অ’ভিযু’ক্ত তিনজনকে প্র’ত্যাহা’র করা হয়েছে।’ এ ঘটনায় এরইমধ্যে ডেপুটি জেল সুপার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কা’রার’ক্ষী খলিলুর রহমানকে প্র’ত্যাহা’র করা হয়েছে।
ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কা’রাগা’রের পার্ট-১ এ আটক হলমার্ক কে’লেঙ্কা’রির হো’তা মালিক তানভীরের ভায়রা কোম্পানির জিএম তুষারের সাথে এক নারী সাক্ষাৎ করেন। ডেপুটি জেলার সাকলাইন সাক্ষাতের অনুমতির জন্য ১২টা ২২ মিনিটে সুপারের রুমে প্রবেশ করেন। সুপারের রুম থেকে অনুমতি নিয়ে ১২টা ৪০ মিনিটে বের হন সাকলাইন। ১২টা ৫৬ মিনিটে ওই নারী কা’রাগারে প্রবেশ করেন।
সিসিটিভিতে দেখা যায়, ডেপুটি জেলার সাকলাইন ১২টা ৫৭ মিনিটে কা’রাগা’রের ভেতরে প্রবেশ করে ১টা ০৪ মিনিটে তুষারকে সাথে নিয়ে ওই নারীর সাথে সাক্ষাৎ করতে একটি ক’ক্ষে নেন। ১টা ১৫ মিনিটে জেল সুপার কারাগার থেকে বের হয়ে যান। এরপর তুষার একটি কক্ষে প্রায় ৪৬ মিনিট সময় কা’টা’য় ওই নারীর সাথে। এ ঘটনায় কা’রাগা’রে’র জেল সুপার রত্না রায়ের সাথে একা’ধিকবার কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি জেলার সাকলাইন ক্ষিপ্ত হয়ে জানান, সুপার স্যারের অনুমতিতেই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হয়।
তিনি বলেন, আমার কি ক্ষমতা আছে, জেলের ভেতর থেকে আ’সা’মি নিয়ে আসবো। গেট অর্ডার, যৌথ বাহিনী, হাবিলদার, সুবেদার আছে। আমি একাই আ’সা’মি নিয়ে আসলাম। এটা কি সম্ভব! ভিডিও ফুটেজে তাকেই আসা’মি নিয়ে আসতে দেখা যাওয়ার বিষয়টি তুললে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমিই তো নিয়ে এসেছি। এটা তো অ’স্বী’কার করছি না। আমাকে বলেছে তাই আমি আ’নতে গেছি। আমাকে না বললে তো আর আমি আনতে যেতাম না।’
এ ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসকের অ’তিরি’ক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদ’ন্ত টি’ম কাজ করছে। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে সাক্ষাতের বিষয়টির সত্যতা পেয়েছে বলে জানান গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম। দেশের ইতিহাসে সবচে বড় ঋ’ণ কে’লে’ঙ্কা’রি কা’রণে হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ ও তার ভায়রা প্রতিষ্ঠানের জিএম তুষার ২০১২ সাল থেকে কা’রাগা’রে রয়েছেন।
সুত্র:বাংলাসার্কাজম