সিলেটপোস্ট ডেস্ক::উত্তর কোরিয়ার এখন চরম খাদ্য সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। খাদ্য সংকট কাটাতে উত্তর কোরিয়ার জনগণকে কম খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন।উত্তর কোরিয়ার খাদ্য সংকট ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত বন্ধ করার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। যা ২০২০ সালে কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধ করার জন্য আরোপ করা হয়েছিল। যার ফলে চীনের সাথে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। সীমান্ত বন্ধের ফলে কিম জং উনের দেশের অর্থনীতি আরও হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি গত গ্রীষ্মে টাইফুন এবং বন্যা উত্তর কোরিয়ার ফসল নষ্ট করে পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলেছে।
খাদ্য সংকটের ফলে প্রচুর মানুষের অনাহারে মৃত্যু হয়েছে। কিম জং উন বলেছেন, ‘মানুষের খাদ্য পরিস্থিতি এখন কঠিন হয়ে উঠছে কারণ কৃষি ক্ষেত্র তার শস্য উৎপাদন পরিকল্পনা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি এই বছরের জুনে বিশেষজ্ঞদের কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। রেডিও ফ্রি এশিয়ার মাধ্যমে জানা গিয়েছে যে, দুই সপ্তাহ আগে, কৃষি বিশেষজ্ঞরা প্রতিবেশী ওয়াচ ইউনিটের সভায় বলেছিল যে, তাঁদের খাদ্য জরুরি অবস্থা ২০২৫ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, ২০২৫ সালের আগে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত খোলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। বাসিন্দাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন যে, এই মুহূর্তে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে তারা আগামী শীতে বাঁচতে পারবে কি-না সেই বিষয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশন বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দক্ষিণ হামগিয়ংয়ে একটি বৈঠক করেছে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া অর্থনীতির সংকট নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের কর্মকর্তারা।