সিলেটপোস্ট ডেস্ক::যাদের বয়স ৬০ বছর বা তার ওপরে এবং ফ্রন্ট লাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সরকারের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা স্বাক্ষরিত এক কার্যবিবরণীতে এ তথ্য জানা গেছে।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সহিদুল্লা জানান, দেশে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক পরামর্শক কমিটির কাছে জানতে চেয়েছিলেন। এ নিয়ে আলোচনা করতে আজ ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসেন কমিটির সদস্যরা। পরে কমিটির সব সদস্যের উপস্থিতিতে ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্ট লাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
করোনার নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত টিকা নিশ্চিত করে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনার যারা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েছেন অন্তত ছয় মাস আগে তাদের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ষাটোর্ধ্ব ও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে থাকাদের করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে ১২ বছর ঊর্ধ্বদের টিকার আওতায় আনা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশে এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন হাতে আছে ৪ কোটি ডোজ টিকা।
এদিকে, করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরন বিশ্বকে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে রেখেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর মধ্যে দেশে দুই জনের শরীরে ধরা পড়েছে এই ধরন। বিশ্বের একদল গবেষক মনে করছেন বুস্টার ডোজ ওমিক্রন ঠেকাতে সক্ষম। এরকম এক পরিস্থিতিতে দেশে ঝুঁকিতে থাকা ষাটোর্ধ্ব এবং যারা করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করছেন, তাদের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিল সরকারের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
এর আগে, সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। দ্রুততম সময়ে সবাইকেই টিকা নিতে হবে। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে।