সিলেটপোস্ট ডেস্ক::থানায় মামলার ২১ মাস পর শান্তিগঞ্জ উপজেলার কাবিলাখাই গ্রামের তাজ মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামী রুহুল আমিন (২৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার গভীর রাতে নিজ গ্রাম থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। রুহুল আমিন কাবিলাখাই গ্রামের রশিদ আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই সিলেট অফিসের পরিদর্শক জিএম কামরুজ্জামান। রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিশাদুজ্জামানের আদালতে সোপর্দ করা হয় রুহুল আমিনকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমা-ের আবেদন করেন। আদালত আগামী ৪ আগস্ট রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন ।
সুনামগঞ্জের আদালত পরিদর্শক মো. বুরহান উদ্দিন জানান, তাজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীর রিমান্ডের শুনানী আগামী ৪ আগষ্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালত ও মামলার সূত্র জানা যায়, কবিলাখাই গ্রামের রুহুল আমিন ও আব্দুল হাই, পার্শ্ববর্তী আমরিয়া গ্রামের আনছর মিয়া, নুরুজ্জামান ও কামরুজ্জামান প্রায়ই জোর করে তাজ মিয়ার ডোবায় মাছ ধরতে চাইলে তিনি বাধা নিষেধ করতেন। এ নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল। ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর বিকেলে অভিযুক্তরা জোর করে মাছ ধরছে, এমন খবর পেয়ে মাছ ধরায় বাধা নিষেধ করেন তাজ মিয়া। বিরোধের জের ধরে তাজ মিয়াকে মারধর করে রুহুল আমিন, আনছর মিয়া, নুরুজ্জামান, কামরুজ্জামান ও আব্দুল হাই। তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারপিট করা হয়। গুরুতর আহত তাজ মিয়াকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় নিহত তাজ মিয়ার পরিবার শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয় নি। এরপর ২১ অক্টোবর নিহতের ছোট ভাই আবু খালেদ আমলগ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তিগঞ্জ আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ২৭ অক্টোবর শান্তিগঞ্জ থানা তাজ মিয়ার মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করে (মামলা নং-১৮, তারিখ ২৭/১০/২০২০ ইং)।
মামলার তদন্ত শেষে শান্তিগঞ্জ থানার পুলিশ আদালতে তাজ মিয়া হত্যা মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের উপর নারাজী দিয়ে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগ করেন বাদী আবু খালেদ। আদালত বাদীর নারাজীর আবেদন গ্রহণ করে অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই সিলেট অফিসের পরিদর্শক জিএম কামরুজ্জামান।