মীর আমান মিয়া লুমান, ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের ছাতকে সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানের সমর্থিত দু`গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পথচারিসহ উভয় পক্ষের ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গত সোমবার বিকালে পৌর শহরের বিএনপির দলীয় অফিসের সামনে এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
জানাযায়, গত সোমবার উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্দ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ তীতুমীর এর সভাপতিত্বে ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্টিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন। বিশেষ অতিথি সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী মিজান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল, নজরুল ইসলামসহ জেলা, উপজেলা ও স্হানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে মিলন-মিজানের নেতৃত্বে ছাতক পৌর শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। ছাতক বাস স্ট্যান্ড এলাকার দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি বের করে ট্রাফিক পয়েন্টে যাওয়ার পর পুলিশের বাঁধায় পিছু হটে মিছিলকারীরা। মিছিল শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার পথে শহরের বাগবাড়ি রাস্তার সম্মুখে পৌঁছা মাত্র ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে হঠাৎ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মিজানুর রহমানের সমর্থকরা মিজানের নামে স্লোগান দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় মিলন পক্ষের জনৈক সমর্থক মিছিলে জুতা ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রদলের কর্মী-সমর্থক ও পথচারীসহ অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় দুটি গ্রুপের মধ্যে ইট, পাটকেট, লাঠি, পেপসির বোতল, কাটা পাথর নিক্ষেপ করা হয় বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে। এতে বিএনপি, সেচ্ছাসেবকদল ,যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদলসহ নেতাকমীরা আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, পাপলু, সায়েম, হানিফ আলী, ওলিউর রহমান, মুহিবুর রহমান, রাফাত, ফয়ছল, আলী আহমদ, কাহারসহ ১৫ ব্যক্তি আহত হন।
এব্যাপারে (তদন্ত) ওসি আরিফ আহমদ, এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন পরিস্থিত শান্ত রয়েছে।