বালাগঞ্জ প্রতিনিধি::প্রধান অতিথি বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেছেন, বালাগঞ্জে শিল্প কলকারখানার সম্ভাবনা কম তবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। প্রাকৃতিক স্টাকচারে এই এলাকা মাছের জন্য খুবই ভালো। এখানে মাছ প্রচুর উৎপাদিত হয়, মাছ নিরাপদ থাকবে এজন্যে এউপজেলা প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেছেন, স্থানীয় ভাবে সচেতন হয়ে অবৈধ জাল গুলো অপসারিত করতে হবে, না হলে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। অবৈধ জাল দেখলে সাথে সাথে ইউএনও এবং মৎস্য কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আযাদ বলেছেন, পানি একটি সম্পদ, এটাকে যথাযথ ব্যবহার করতে পারি তাহলে অভাব থাকবে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাহাত্তর সালে বলেছিলেন মাছ হবে দেশের দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উৎস্য সেটা আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতের আওতায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় পোনামাছ অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা বলেন বক্তারা।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর আয়োজন ও বাস্তবায়নে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে এবং উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রেখেছেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেবু আক্তার মনি, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রজত চন্দ্র দাস ভূলন, সমাজ সেবা কর্মকর্তা জুয়েল আহমদ, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা রাজিব সরদার। এবছরে মৎস্য অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতের আওতায় উপজেলার মাইজআইল, চাতল-পাটা চাতল, ভেড়াঘাটিয়া তিনটি হাওরে ৪শ ৪৩কেজির পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাকির হোসেন, এসআই জহরলাল দত্ত, সাংবাদিক জাগির হোসেন, আমীর আলী, মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী সামসুল ইসলাম, মৎস্যচাষী সমিতির সভাপতি, সম্পাদক প্রমুখ।