
এ সময় মানববন্ধনে বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম দানু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, শিক্ষকরা হলো দেশ ও জাতি গড়ার প্রধান কারিগর। ক্লাসরুমে ছাত্রকে শাসন করায় আজ আমরাই (শিক্ষকরা) আল ইদ্রিস নামধারী কিছু কুলাঙ্গার ছাত্র দ্বারা হামলা ও মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছি। এর মধ্যে একজন শিক্ষক গুরুতর আহত অবস্থায় সিসিইউ-তে ভর্তি আছেন সিলেটে। এটি একটি কলঙ্কিত অধ্যায়। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাছে অনুরোধ করছি ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের দুই শিক্ষকের উপর হামলা ও মারধর করা ছাত্র আল ইদ্রিস সহ তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানোর জন্য। তিনি আরও বলেন, আজ শুধু ট্যাকেরঘাটের শিক্ষকেই লাঞ্চিত হয় নাই! আজ সারা বাংলার শিক্ষক সমাজ লাঞ্চিত হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক জাতির জন্য। যেখানে মা-বাবার পর দ্বিতীয় মা-বাবা শিক্ষক। আজ তারাই ছাত্রদের ধারা হামলাতিনি আরও লাঞ্চিতর শিকার। এ সময় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বাদাঘাট সরকারি ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ জুনাব আলী, ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প মাধ্যমিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খায়রুল আলম,লাউড়েরগড় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাইউম, হাজী এম. এ. জাহের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ, বাগলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ কুমার রায়, চানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান, আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার তালুকদার, ইউনুছ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির, ব্রাহ্মণগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম মোম্তাকিম আলী পীর, মাও: শাজাহান আহমদ প্রমুখ। প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৯টার দিকে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক লাকমা বাজার থেকে টেকেরঘাট আসার পথে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে ওই প্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন। হামলায় আহতদের মধ্যে শিক্ষক মর্তুজা আলী উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।