সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সালিশের নাম করে এক কিশোরীকে গণধর্ষনের মামলার প্রধান আসামী বাহারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবরকে গ্রেপ্তার করেছে শাল্লা থানা ও ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় সুনামগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকার পানসী রেস্টেুরেন্টের
সামনে থেকে শাল্লা থানা পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা মিলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৫ই
সেপ্টেম্বর সালিশের নামে কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে ইউপি
চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাস মিলে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় গত ১৬ই সেপ্টেম্বর ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী
নান্টুকে প্রধান আসামী করে পরিষদের ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস ও প্রেমিক মলয় দাসসহ তিনজনকে আসামী করে শাল্লা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২ ।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে
ঐ কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল । বিয়ে না করায় গত জানুয়ারিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ওই কিশোরী। এতে প্রেমিক মলয় দাস দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিলে ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে মলয়ের
পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে জানায়। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু মলয়ের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সকালে তাকে সালিশের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ, ঘটনার সময় পরিষদের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে ওই কিশোরীকে চেয়ারম্যান নান্টু ও তার পরিষদের মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে গণধর্ষণ করেন। পরে কোনো মতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নেয়। তবে মামলা না নিতে পুলিশকে ম্যানেজ করার শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি মাদকসেবী চরিত্রহীন ইউপি
চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাসের।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ধর্ষন মামলার আসামী শাল্লার বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।