সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নের পৈন্দা ভূমি অফিস থেকে এক মুক্তিযোদ্ধার চিরস্থায়ী খাস ভূমি বন্দোবস্তের ফাইল উধাও হয়েছে। এ ঘটনায় ফাইল উদ্ধারের জন্য কাঠইর ইউনিয়নের সাকিন-নারকিলা গ্রামের বাসিন্দা ভোক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল দাস দাস ভূমি অফিস থেকে উধাও হওয়া ফাইল উদ্ধারের দাবীতে গত ১২ ই সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন। এছাড়াও ঐ বীর মুক্তিযোদ্ধা গত ১৪ই সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ বরাবরে পরিষদের উন্নয়ন সরকারী পুকুরের মালামাল অপহরন করার অভিযোগে আর একটি আবেদন করেন।
আবেদন এবং অভিযোগ সুত্রে জানাযায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল দাস সরকারী খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করা হলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি অফিস হতে গত ২৫/৫/২০২২ইংতারিখে আবেদনপত্রটি পৈন্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরণ করা হয়। যার স্বারক নং-৭১৪, পরে মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল দাস ভূমি অফিসে যোগাযোগ করিলে ফাইলের কোন সন্ধান পাননি। ফাইল কোথায় গেল যানতে চাইলে পৈন্দা ভ’মি অফিসের কর্মকর্তারা ফাইল নেই বলে জানালে তিনি দীর্ঘদিন হাটাহাটির পর অবশেষে ফাইল উদ্ধারের জন্য গত ১২/৯/২০২২ইং তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি আবেদন করেন ঐ মুক্তি যোদ্ধা।
এছাড়াও ঐ মুক্তিযোদ্ধা জানান কাঠইর ইউনিয়নের ২নং ওযার্ডের সাকিন নারকিলা গ্রামে জেলা পরিষদের রেকর্ডভূক্ত একটি পুকুর অতীতে ইজারা দেওয়া হত কিন্তু গত ২/৩বছর পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উক্ত পুকুরটি সুনামগঞ্জ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্বারা সংস্কার করা হয় পুকুরের চতুঃর্দিকে পাকা পিলারসহ কাটারবেড়া দিয়ে ইট দ্বারা পাড়টিকে বেস্টন করা হয়। বর্তমানে কে বাহ কাহারা ঐ পুকুরের সরকারী সংস্কারের মালামাল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে এবং সরকারী পুকুরটিকে নিজেদের বাড়ীর ঘাট বানিয়ে সৌন্দর্য্য নষ্ট করে সরকারী জায়গা দখল করার পায়ঁতারা করছে এসব সরকারী সম্পদ উদ্ধারের জন্য ও তিনি জেলা পরিষদ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ এবং আবেদনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে দরখাস্থকারী নারকিলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল দাস জানান,আমরা ১৯৭১ সালে দেশ মাতৃকার টানে অস্ত্র হাতে তুলে দিয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। যেখানে দেশ সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে। সেখানে থাকবে না কোন অনিয়ম আর দূনীর্তি। কিন্তু কষ্ট হয় আমার একটি ফাইল পৈন্দা ভূমি অফিস থেকে কিভাবে ঘায়েব হয়ে গেল তা তদন্ত করে বের করার দাবী জানান।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান মুক্তিযোদ্ধার দরখাস্থটি খোজ খবর নিয়ে দেখা হবে।