সিলেটপোস্ট ডেস্ক::পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষ্যে ১২ই রবিউল আউয়াল রবিবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সিলেট জেলার উদ্যোগে হযরত শাহজালাল (র.) এর দরগাহ প্রাঙ্গণ থেকে জশনে জুলুস বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জালালাবাদ থানার মইয়ারচরস্থ মাদরাসা-এ-তৈয়বিয়া তাহেরিয়া হেলিমিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এসে মিলিত হয়। পরে জুলুসোত্তর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
গাউসিয়া কমিটির সিলেট জেলার সভাপতি হাফেজ মিসবাহ উদ্দিন চৌধুরী সভাপতিত্বে জুলুসোত্তর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, গাউসিয়া কমিটির প্রধান উপদেষ্ঠা অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জালালুদ্দিন আল ক্বাদেরী, মোল্লারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মকন মিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, দরগাহে হযরত শাহজালাল (রা.) মুতাওয়াল্লী শামিউল মাহমুদ খান, সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সিনিয়র সভাপতি মুহাম্মদ মোক্তার মিয়ার, সহ-সভাপতি আলা উদ্দিন, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালী মাহমুদ খান, ফজিলাতুন্নেছা মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আহমদ আলী হেলালী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনার সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতী, এয়ারপোর্ট থানার আহবায়ক মো. ইলিয়াছ আলী মেম্বার, এস.এ.এম শহিদুল ইসলাম সেলিম।
যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ আলীর পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল মালেক, সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল গফুর, অর্থ সম্পাদক ডা. নুরুল আলম, সহ-সম্পাদক ওবায়দুল হক ভুইয়া, প্রচার সম্পাদক মুফতি মাহমুদ জায়গীরদার, আব্দুস সোবহান, মো. রাজু চৌধুরী, জালালাবাদ থানার দায়িত্বশীল মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আনোয়ার হোসেন আনছারী, লুৎফুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মাওলনা তুহিনুর রহমান শাহজান, তাহেরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সিলেটের সভাপতি মুহা. মাহবুব আলী চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুবায়ের আহমদ, সহ-সভাপতি মুহা. সাইফুর রহমান, মুহা. ইমাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুহা. রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মুহা. আলী আজগর চৌধুরী, সহ অর্থ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম জুবায়ের, প্রচার সম্পাদক মুহা. লায়েক আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক আশিকুর রহমান রায়হান, আফদ্বল আহমদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহা. ইদ্রিছ আলী, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান রুবেল প্রমুখ।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (দ.) ছিলেন বিশ্বমানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ। তাঁর জীবনদর্শনে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র জীবনের সর্বোত্তম ও পরিপূর্ণ আদর্শ নিহিত রয়েছে। সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় প্রিয়নবীর প্রতি যেমন সর্বোচ্ছ ভালোবাসা লালন করতে হবে তেমনি তাঁর সুমহান আদর্শ অনুসরণ, চর্চা ও প্রচার-প্রসারে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি ইনসাফভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে অনুসরনীয় নজীর স্থাপন করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন।
তাঁর জীবনের প্রতিটি দিকই তাই সকলের জন্য অনুসরণীয়। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য শ্রেষ্ঠতম আদর্শ। সর্বত্র রাসুলের (দ.) দর্শন থেকে দূরে থাকার কারণে মানুষ পথভ্রষ্ট হচ্ছে। রাসুল (দ.)এর অনুসরণই সকল সমস্যার সমাধান নিহীত।
জুলুছের যৌক্তিকতা তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা যদি রবিউল আউয়াল মাসে নবীজির সম্মানে জশ্নে জুলুছে ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ.) পালন করি তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও নিয়ামত প্রাপ্ত হবো। পরিশেষে খতমে গাউসিয়া ও মিলাদ শরীফ শেষে বাংলাদেশ সহ সমস্ত মুসলিম উম্মার শান্তি সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় করে মোনাজাত করা হয়। বিজ্ঞপ্তি