
দুই আসামি গ্রেফতারসহ মানব পাচার মামলায় জড়িতদের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার একওয়ান নামের এক যুবককে লিবিয়া হয়ে ইতালী পাচারের সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় দালাল আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী আছমা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অন্যান্য আসামিরা প্রবাসে থাকায় তাদেরকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পারভেজ আলম, ডিআইও-১ আজিজুর রহমানসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীধরপাশা গ্রামের মৃত সমসর আলীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (৪১) বাদি হয়ে মানবপাচার আইনে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় চারজনের নাম উল্লেখকরে মামলা দায়ের করেন। আসামি আবুল মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ তার লিবিয়া প্রবাসী পুত্র আসামি আলী হোসেনের মাধ্যমে বাদীর পুত্র একওয়ান ইসলামকে ইতালি পাঠানোর জন্য প্রলুব্ধ করে। আসামি আবুল মিয়ার তার ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য ১৯ লাখ টাকার চুক্তিতে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে বাদীর ছেলে ভিকটিম একওয়ান ইসলামকে দুবাইয়ে প্রেরণ করে। টাকা পেয়ে বাদীর পুত্র একওয়ান ইসলামকে ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়ায় অবস্থানরত তার ছেলে আসামি আলী হোসেন ও তার আত্মীয় আসামি সালেহ আহমদের নিকট পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরো জানান, বাদী তার ছেলেকে ইতালিতে পাঠাতে না পারলে দেশে ফেরত আনার জন্য আসামি আবুল মিয়াকে জানায়। আসামিরা হঠাৎ বাদীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে বাদীর সন্দেহ হয় এবং তার ছেলেকে দেশে নিয়ে আসার জন্য আসামি আবুল মিয়াকে চাপ প্রয়োগ করে। আসামি আলী হোসেন ও আসামি সালেহ আহমদদ্বয় লিবিয়ায় অবস্থারত তাদের সহযোগী মাফিয়া দ্বারা বাদীর ছেলে একওয়ান ইসলামকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। জগন্নাথপুর থানা পুলিশের দুইটি টিম মামলা রুজুর পর হতে সুনামগঞ্জ জেলাসহ সিলেট জেলা ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে নিরবিচ্ছিন্নভাবে অভিযান পরিচালনা করে ০৯/১০/২০২২ খ্রি. হবিগঞ্জ জেলা সদরের বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মোহনপুর নামক এলাকা হতে মামলার এজাহারনামীয় আসামি আবুল মিয়া (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪০) গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ভ্যানিটি ব্যাগ এবং ব্যাগের ভিতর রাখা ৪,১৫,৫০০/- (চার লক্ষ পনের হাজার পাঁচশত) টাকা, ৭টি মোবাইলফোন ১টি এটিএম কার্ড ২টি ব্যাংক চেকসহ ১টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।