সিলেটপোস্ট ডেস্ক::গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে এক ফেইসবুক লাইভারের বিরুদ্ধে মানসিকভারসাম্যহীনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটানায় শনিবার এমআর
নোমান আহমদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী
বকুল আহমদ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে ইউনিয়নের লামা ফতেপুর গ্রামের অসহায়
কামরুল ইসলামের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন কাওছার আহমদের চিকিৎসা করাতে
পারছিল না তার পরিবার। এর সুযোগ নোমান আহমদ নিজেকে সাংবাদিক দাবি করে
কাওছার আহমদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা খরচ দিবে বলে ভাই বকুল আহমদ ও তার মাকে
জানায়। নোমান আহমদের কথামতো বকুল আহমদ ও তার নোমান আহমদের ফেইসবুক
পেইজে লাইভে এসে হৃদয়বাদের অসহায়ত্বের কথা জানান এবং দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে
মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে ও ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। কিন্তু
প্রতারক নোমান লাইভে সাহায্যের জন্য তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং বিকাশ নম্বর
দেন। এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর নোমান আহমদ মানসিক ভারসাম্যহীন কাওছারের
বাড়িতে আবারো গিয়ে ফেইসবুকে লাইভ করেন নোমান এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে
টাকা আসার কথা লাইভে জানান। পরে কাওছার আহমদের ছোট ভাই বকুল ও মাকে ৫০ হাজার
টাকা আসার কথা জানান। এবং কাওছারকে হাসপাতলে ভর্তির জন্য বলেন। প্রতারক
নোমানের কথা অনুযায়ী মানসিক ভারসাম্যহীন কাওছারকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন তার ভাই বকুল ও তার পরিবার। পরে নোমান আহমদের চিকিৎসার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে আসা টাকা দেয়ার জন্য বলেন কাওছারের ভাই বকুল।
নোমান ১০হাজার টাকা পাঠাচ্ছেন বলে ফোনে বকুলকে জানান এর পর থেকে নোমানের
মোবাইলে যোগাযোগ করে ফোন বন্ধ পান বকুল আহমদ ও তার পরিবার। এ নিয়ে স্থানীয়
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মুজাহিদুল ইসলামের নিকট বিচারপ্রার্থী হন বকুল ও তার
পরিবার। পরে কোনো প্রতিকার না পেয়ে গোয়াইনঘাট থানায় প্রতারক নোমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মানসিক ভারসাম্যহীন কাওছারের ছোট ভাই বকুল আহমদ।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম।