
সমাবেশে বক্তারা বলে, বাংলাদেশ আজ ভয়াবহ সংকটের সম্মুখিন। একদিকে প্রবল অর্থনৈতিক সংকট অন্যদিকে চলছে ফ্যাসিবাদী শাসন। বাংলাদেশে গত অর্ধ শতাব্দীর ধরে চলা পুজিঁবাদী শাসন ব্যবস্থা আজ এমন জায়গায় এসে দাড়িয়েছে যে,শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের জীবনে নামিয়ে এনেছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। একদিকে মুষ্টিমেয় কয়েক জন পুজিঁপতির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে দেশের বেশিরভাগ সম্পদ অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি,মুদ্রাস্ফীতি,বেকারি, ছাঁটাই চলছে। পত্রিকায় এসেছে, বর্তমানে খাবার কিনতে হিমশিম খাওয়া মানুষের হার ৬৮ শতাংশ।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছেন সিলেট ও বরিশাল বিভাগের মানুষ। সরকার ও সরকার দলীয় লোকজন,আমলা,প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দূর্নীতি,লুটপাট,সম্পদ পাচার ও তথাকথিত উন্নয়নের ফলে আজ দেশে ত্বরান্বিত হয়েছে অর্থনৈতিক সংকট। এর ফলাফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
দেশে চলমান বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা ও তার রাজনীতি ও অর্থনৈতিক স্বার্থ বহাল রাখতে শাসকগোষ্টি দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। গত ১৪ বছর ধরে চলছে আওয়ামী শাসন। সমস্ত রাজনৈতিক,প্রশাসনিক কাঠামোকে চূড়ান্ত দলীয় করন করা হয়েছে। নূন্যতম অর্থে সুষ্ট নির্বাচনের আর কোন পরিবেশই এখানে অবশিষ্ট নেই,এমন কি স্থানীয় নির্বাচনও সুষ্ট হচ্ছে না। এ অবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনে কোন সুষ্ট নির্বাচন হতে পারে না। নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রায় সকল দলেরই। কিন্তু কে শুনে কার কথা। সরকার নির্বকার। বরং বিরোধী চিন্তা,মত দমনেই তারা সিদ্ধহস্ত। গুম,খুন বিনাবিচারে হত্যা ইত্যাদি চলছে। রাজনৈতিক চর্চার বদলে আমলাতন্ত্র ও প্রশাসনের যোগসাজশে চলছে দেশ। এই ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।”
বক্তার আরোও বলেন, “গোটা বিশ্বে আজ পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ব্যর্থ।মানুষকে কোনরকমে বেঁচে থাকার ন্যুনতম রসদটুকুরও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না এই ব্যবস্থা।অথচ আর একদিকে ১ভাগ মানুষের হাতে বিপুল সম্পদ জড়ো হয়েছে।অসাম্য,ক্ষুধা,দারিদ্র্য ছাড়া এই ব্যবস্থা মানুষকে কিছু দিতে পারেনা।কিন্তু আজ থেকে ১০৫ বছর আগে রাশিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের নেতৃত্বে যে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল,সেই ব্যবস্থা দেখিয়েছে কিভাবে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা যায়,ক্ষুধা, দারিদ্র্য, শোষণ থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া যায়,বেকার সমস্যা দূর করা যায়। তাই আজ পুঁজিবাদী ব্যবস্থার শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমজীবী গরীব মানুষ,কৃষক,ক্ষেতমজুরদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাজতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হবে।বাসদ(মার্কসবাদী) শ্রমজীবী মানুষদের নিয়ে সেই লড়াই করছে।”আগামী দিনের সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রামে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।