সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেটের করিম উল্লাহ মার্কেটের ২য় তলায় ৩৪ নম্বর দোকান কোঠা নিয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষের সাথে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ সুরমার গোপশহর এলাকার তহুর আলীর পুত্র আমিরুল ইসলাম। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
লিখিত বক্তব্যে আমিরুল ইসলাম বলেন, সিলেট মহানগনগরীর স্বনামধন্য করিম উল্লাহ মার্কেটের ২য় তলায় ৩৪ নম্বর দোকান কোঠা করিম উল্লাহ মার্কেটের স্বত্বাধীকারি ও জমিদার ছানা উল্লাহ ফাহিম, কুদরত উল্লাহ ফায়ের ও আতা উল্লাহ সাকেরের কাছ থেকে আমি কয়েক বছর আগে উপরে উল্লিখিত দোকান কোঠা বন্দোবস্ত নেই। এ দোকান কোঠা নিয়ে মালিক পক্ষের সাথে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এই ভুল বুঝাবুঝি থেকে আমি সংক্ষুব্ধ হয়ে অনেকের প্ররোচনায় আদালতে মামলা-মোকদ্দমা, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় দরখাস্ত দাখিল ও সংবাদ সম্মেলন করে আমার দাবির পক্ষে বক্তব্য পেশ করি। যা আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে দূরত্ব সুষ্টি করে ও সম্মান হানির শামিল হয়। আজ আমি খুশিমনে সুস্থ্য শরীর ও মস্তিস্কে জানাচ্ছি এই দোকান কোঠা নিয়ে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝি স্থানীয় কয়েকজন হিতৈষী মুরব্বিয়ানগণ সম্মানজনকভাবে নিষ্পত্বি করে দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমিরুল বলেন, আমি একজন প্রবাসী বিধায় এ দোকান কোঠার যাবতীয় ক্ষমতা অর্থাৎ দান, হস্তান্তর, চুক্তি স্বাক্ষর, মামলা দায়ের বা কোন প্রতিষ্ঠানে দরখাস্ত দাখিল, আপোষনামা সম্পাদনসহ সর্বক্ষমতা আমার সম্পর্কীয় ভাগনা দক্ষিন সুরমার মোল্লারগাঁও গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র মো. আশফাকুর রহমানকে আমোক্তার নিযুক্ত করলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, করিম উল্লাহ মার্কেটের মালিক পক্ষ সিলেট নগরীর সম্মানিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান এবং তারা ব্যক্তিগতভাবেও এই সিলেটের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি হন। করিম উল্লাহ মার্কেট সিলেটের একটি স্বনামধন্য মার্কেট। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দোকান কোঠা নিয়ে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।