এনায়েত হোসেন সোহেল, ফ্রান্সের তুলুজ থেকে ফিরে : ফ্রান্সের পিঙ্ক নগরী তুলুজ শহরে বর্ন্যাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ ১৪২২। পুরনো বছরের জীর্ণতা ও বেদনাকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বর্ষবরণ উৎযাপন উপলক্ষে গত রোববার দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তুলুজের প্রাণকেন্দ্র ক্যাপিটালস্থ একটি অভিজাত রেস্তুরায় প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটিসহ বিদেশীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত ।
বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশন তুলুজের আয়োজনে উৎসবের আমেজে সামিল হন দলমত নির্বিশেষে সকল বয়স ও শ্রেনীর পেশার মানুষ।
দেশীয় স্বাদের বিভিন্ন রকমের পিঠা প্রতিযোগিতা ও পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি ও অনুষ্ঠানের সভাপতি ফখরুল আকম সেলিম ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল ইসলামের লিখিত শুভেচ্ছা বার্তা পাঠ করে শুনান ।
সাকের চৌধুরী ও ফেরদৌস খানের যৌথ পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের মহাসচিব কাজী এনায়েত উল্লাহ। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্ঠা মোস্তফা মিয়া,সাবেক সহ সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাংবাদিক নুরুল ওয়াহিদ, আওয়াল রহমান দ্বীপ, তাজিম খোকন, জাহাঙ্গীর হোসেন, অনু রোজারিও, মেহেদী হাসান স্বপন,হিলারি মিনস ও মনির হোসেন মনির প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,বাঙালির শেকড় যে আবহমান বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের
মধ্যে নিহিত, তা আবারো প্রমাণিত হলো নববর্ষ উদযাপনের ভেতর দিয়ে। আধুনিকতার ছোঁয়া যতই বাঙালিকে স্পর্শ করুক না কেন, একজন বাঙালি যে মনেপ্রাণে বাঙালি এবং একসময় যে তাকে শেকড়ে ফিরে যেতে হবে এ বোধ বাঙালির মধ্যে এবারো উজ্জ্বলভাবে ফুটে উঠেছে। আর সে কারণেই নববর্ষ উদযাপনের প্রতিটি অনুষ্ঠানেই মানুষের ঢল লক্ষ্য করা গেছে। শুধু বাংলাদেশে নয় পুরো বিশ্বে যেখানে বাংলাদেশীরাই রয়েছে সেখানেই বৈশাখের সব অনুষ্ঠানই ছিল লোকে লোকারণ্য। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ক্ষেত্রে এত উচ্ছলতা উচ্ছ্বাস, প্রাণের জোয়ার সত্যিকার অর্থেই মনে করিয়ে দেয় আমরা বাঙালি।
পরে ডালিয়া ইব্রাহিমের উপস্থাপনায় এসো হে বৈশাখ এসো এসো গানের মধ্যেও দিয়ে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্মৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অনুষ্ঠান মাতিয়ে রাখেন লন্ডন থেকে আগত সংগীত শিল্পী আব্দুল কাইয়ুম কায়া, শতাব্দী রানী কর, মেহেদী হাসান স্বপন। পুথি পাঠ করেন বিশিষ্ট পুথি শিল্পী কাব্য কামরুল।
অনুষ্ঠানের শেষে পিঠা প্রতিযোগিতায় বিজিতদের মধ্যে কুইক সিটির সৌজন্যে পুরস্কার প্রদান করেন অতিথি বৃন্দ।