সিলেট পোস্ট রিপোর্ট : শুধু সাগরপথেই নয়, পবিত্র ওমরাহ পালনের নামেও বাংলাদেশ থেকে চলছে মানবপাচার। নির্দিষ্ট সময় পরও, প্রায় ১০ হাজার মানুষ দেশে না ফেরায়, ওমরাহ ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি সরকার। এমন পরিস্থিতিতে আগামী হজে এর প্রভাব পড়তে পারে এই আশঙ্কায় অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করতে শুরু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। আর এভাবেই সৌদি সরকারের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে তারা। অবশ্য যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁরা বলছেন, সিস্টেমে ত্রুটি থাকায় এমনটি হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সৌদি সরকারের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী, ফকিরাপুলের কেএসপি ট্রাভেলস নামের একটি এজেন্সি থেকে ১৮২ জন ওমরা করতে গিয়ে ফিরে আসেননি বলে সৌদি সরকার চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে।
খাদেম এয়ার সার্ভিসেস থেকে সৌদি আরবে ওমরাহ করতে গিয়ে ফেরত আসেননি ৮৬ জন। গালফ ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের ১৪১ জন, লর্ড ট্রাভেলসের ৭৭ জন ও থ্রি স্টার ট্রাভেলস থেকে ফেরত আসেননি ২৪১ জন। এ রকম প্রথম তালিকায় ১৫টি এজেন্সির প্রায় দেড় হাজার হজযাত্রীর ফেরত না আসার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত এজেন্সিগুলো বলছে, যাঁরা ফিরে আসেনি তাদের ফেরাতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ রকম এক এজেন্সির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখনো রয়ে গেছে, ওরা আসেনি। হয়তো বা আমরা যোগাযোগ করছি তাদের সাথে। তাদের কামব্যাক করানোর জন্য।’
গত ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত ১৪ থেকে ২৮ দিন মেয়াদের ভিসায় বাংলাদেশ থেকে ৪০-৫০ হাজার মানুষ ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে গেলেও তাদের মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার এখনো দেশে ফেরেনি। অবৈধভাবে তারা সৌদিতে থেকে যাওয়ায়, সৌদি আরব গত ২২ মার্চ থেকে ওমরা ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফয়জুর রহমান বলেন, ‘তারা বলছে যে এই এজেন্সিগুলো এ কাজগুলো করে আসছে। এই যে তারা বাংলাদেশ থেকে ওমরার কথা বলে ব্যাক করছে না এবং আমাদের এখানেও আমরা যদি দেখি যে এ রকম তারা ফিরে আসছে না আমরা কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করার ব্যবস্থা নিতে পারি।’হজের মৌসুমে প্রভাব এড়াতে খুব শিগগিরই এজেন্সিগুলোর সাথে জরুরি বৈঠকে বসার কথাও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।