সিলেট পোস্ট রিপোর্ট : বয়স গুনে গুনে ৭৭ সত্যি কথা বলতে গেলে, আমাদের দাদি-নানিদের বয়স। কিন্তু এই বয়সেও মানুষ এমন মোহনীয় থাকেন কী করে? জেন ফন্ডাকে যতই দেখি অবিশ্বাস্য লাগে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ মিলল এই হলিউড বিস্ময়কে। মুখে বলিরেখা দৃশ্যমান। কিন্তু সোনালি চুল আর ধূসর সবুজ চোখ এখনো যথেষ্ট উজ্জ্বল। গলার বড়সড় সোনালি নেকলেসটা হয়তো গলার ভাঁজ লুকানোর জন্যই। তাঁর ব্যক্তিত্ব আর সদর্প উপস্থিতির কাছে সেসব তুচ্ছ।
দিন দু-এক আগে এই কান উৎসবের লালগালিচায় তাঁকে দেখেছি। ঝকমকে নীল গাউনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তিনি ঢুকে পড়েছেন লালগালিচার সেরা পোশাক পরিহিতাদের বিবিধ তালিকায়ও। অবাক কাণ্ড তো বটেই।এই বয়সে এমন উজ্জ্বলই বা থাকা যায় কীভাবে? যৌবন বা তারুণ্য মানে তাঁর কাছে আসলে কী?’ জেন ফন্ডাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কাল।জবাবে দুবারের অস্কার বিজয়ী হলিউড কিংবদন্তি যা বলেছেন তার সারমর্ম মোটামুটি এ রকম, ‘মানুষ তখনই বুড়ো হয়, যখন সে তার জীবনের মানে হারিয়ে ফেলে। তার জীবনে “প্যাশন” বা তাড়না বলতে কিছু থাকে না। আমার মনে হয়, এখনো আমি যথেষ্ট প্যাশনেট। আর আমি কাজ করে যেতে চাই।’
একসময় হলিউড সিনেমা দুনিয়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন অভিনয়প্রতিভা আর ব্যক্তিত্বের শক্তিতে। জেন ফন্ডা এখনো এমন এক হলিউড মহাতারকার নাম, যিনি মাতিয়ে দিতে পারেন যেকোনো উৎসব। কান উৎসবেও হয়েছে তাই। তাঁর বিখ্যাত ছবির মধ্যে আছে বারবারেলা, পিরিয়ড অব অ্যাডজাস্টমেন্ট। ক্লুট ও কামিং হোম ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি জিতেছিলেন অস্কার।ইয়ুথ ছবিতে জেন ফন্ডার চরিত্রের দৈর্ঘ্য খুব ছোট। চরিত্রটি হতাশাগ্রস্ত এক হলিউড অভিনেত্রীর। হৃত যৌবনা এই অভিনেত্রী মনে করেন, সিনেমা তাঁর জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। শেষবেলায় এসে টেলিভিশন ধারাবাহিকই বরং তাঁর জীবিকার জন্য বেশি জরুরি। ছোট চরিত্র, কিন্তু গভীরতার দিক দিয়ে অনেক বড়।