সিলেট পোস্ট রিপোর্ট :পুলিশের সঙ্গে আগে থেকেই সুসম্পর্ক ছিল জামায়াত নেতার। সেই সুবাদে এক কনস্টেবল তার বাড়িতে যান। সেখানে বিভিন্ন আলাপচারিতার পর দু’জনে দুপুরে খাওয়া-দাওয়াও করেন। পরে ওসি ডেকেছেন বলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। করা হয় গ্রেপ্তার।
এভাবেই কৌশলে বগুড়ার কাহালু পৌর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের প্রধান শিক্ষক।
তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা না থাকলেও তিনি নাশকতার মামলার অজ্ঞাত আসামি ছিলেন বলে দাবি করেছেন কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমিত কুমার কুন্ডু। তবে গ্রেপ্তারের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে এড়িয়ে যান ওসি।
গ্রেপ্তার জামায়াত নেতার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষকতার সূত্র ধরে কাহালু রেড রোজ কিন্ডার গার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ ও কাহালু পৌর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বাদশা’র সঙ্গে থানা পুলিশের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে একজন পুলিশ কনস্টেবল তার বাসায় যান। বেশ কিছু সময় আলাপ শেষে দু’জনে একসাথে দুপুরের খাবার খান। এরপর ওসি সাহেব থানায় ডাকছেন বলে বেলা ১টার দিকে বাদশাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নেয়ার পর তাকে জানানো হয় তিনি নাশকতার মামলার সন্দেহভাজন আসামি।
খবর পেয়ে বাদশা’র আত্মীয় স্বজন থানায় খোঁজ নিলে পুলিশ গ্রেপ্তারের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকরা থানায় যোগাযোগ করলেও তাদের কাছে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।
তবে, বগুড়ার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম বাদশা নাশকতার মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি ছিলেন।