সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সূর্যের হাসি ক্লিনিক গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশে এখনও বছরে ৩০ লক্ষ শিশুর জন্ম হয়। যার মধ্যে ২৪ লক্ষ শিশুর জন্ম হয় বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন অথবা অপ্রশিক্ষিত দাই এর হাতে। কমিউনিটির বেশির ভাগ মানুষই গর্ভধারণ বিষয়ে সচেতন না হওয়ায় গর্ভকালীন জরুরী প্রয়োজনের সময় তারা প্রসূতীর পাশে দাঁড়াতে পারে না। তাই বাড়ীতে গর্ভবতী মায়ের উপস্থিতির সংকেত স্বরুপ সেই বাড়ীকে লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত করার মাধ্যমে কমিউনিটিতে বিশেষ করে দরিদ্র ও অতি দরিদ্রদের মাতৃস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়। গর্ভবতী মার প্রসবের ৩দিন পর্যন্ত মা ও শিশুর মৃত্যু ঝুকি বেশি থাকে। তাদের মৃত্যু ঝুঁকি কমানোর জন্য সূর্যের হাসি ক্লিনিক ৩দিনের পাহারা কার্যক্রম পরিচালনা করে। তিনদিনের পাহারার কারণ হল- প্রসবজনিত জটিলতার কারণে প্রসবের সময় থেকে ৩দিন সময়কালে মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার সবচাইতে বেশি। মা-কে পাহারার মাধ্যমে জটিলতা নিরুপন করে জরুরী ভিত্তিতে সেবার ব্যবস্থা নিলে মা ও শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হয়।
গোলাপগঞ্জ শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ক্লিনিক ম্যানেজার সৈয়দ আবুল হাসনাত জুয়েল, সার্ভিস প্রমোটর মিছবাহ উদ্দিন, সেলিম আহমদ, মেডিকেল অফিসার ডাঃ লাকী আক্তার, প্রশাসনিক সহকারী সবিতা রানী দে, প্যারামেডিক শিউলী চক্রবর্তী, মালেকা বাহার প্রমুখ। সভাশেষে প্রধান অতিথি ক্লিনিক ম্যানেজার সৈয়দ আবুল হাসনাত জুয়েলের হাতে উপজেলার শ্রেষ্ঠ এনজিও হিসেবে সীমান্তিকের পুরস্কার দেয়া হয়।