সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটের ওসমানীনগরে আওয়ামীলীগের দু-গ্র“পের সংঘর্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে। উপজেলার গোয়ালাবাজার সহ আশপাশ এলাকার ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।সংঘর্ষে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সোহেল চুরিকাঘাতসহ উভয় সমর্থকদের ১৫ জন আহত হন। সোহেল আহত হওয়ার খবর পেয়ে তাঁর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রভাতি ফিলিং ষ্টেশন ও গোয়ালাবাজারস্থ হাজি মার্কেটে তাঁর ব্যক্তিগত অফিস সহ সামনে থাকা কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত পুলিশ,ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। শনিবার রাত ৮ টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছে।গোয়ালাবাজার সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারিু করা হয়েছে। ফলে উপজেলার বানিজ্যিক প্রাণ কেন্দ্র গোয়ালাবাজার সহ আশপাশ এলাকার ুব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পরছে।জানা যায়, জাতীয় শ্রমিকলীগ ওসমানীনগর উপজেলা শাখার সম্মেলন শনিবার বিকালে উপজেলার গোয়ালাবাজারস্থ সাদীমহল কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন সিলেট জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক।প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান, প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। উক্ত সম্মেলন চলাকালিন সময়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সোহেলকে পরিচয় করিয়ে না দেয়ায় সম্মেলনের মধ্যে আলতাফুর রহমান সোহেল ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান চৌধুরী নাজলু মধ্যে কথা কাটাকাটি শুর হয়।এক পর্যায়ে নাজলু চৌধুরী সমর্থক ও সোহেল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হওয়ায় সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করেন আয়োজকরা। সংঘর্ষে আলতাফুর রহমান সোহেল সহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন।আহতরা হচ্ছেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান সুহেল (৩৫), আওয়ামীলীগ নেতা ফেরদৌস খান (৪৫),সৈয়দ নেছাওর আলী (৫০),ছাত্রলীগ নেতা ইসুফ চৌধুরী(২৮),সাবলু আহমদ (২৫),শামিম আহমদ(২৫), মাহবুব (২২), সাব্বির (২৫) প্রভাতি ফিলিং ষ্টেশনের কর্মচারী মোহন (১৬) সহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হন।আহতদের মধ্যে আলতাফুর রহমান সোহেল এর অবস্থা আশংঙ্কাজনক বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও উভয় সমর্থকদের মধ্যে উওেজনা বিরাজ করায় তাৎক্ষনিক এলাকায় মাইকিং করে গোয়ালাবাজার এলাকাসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী করে উপজেলা প্রশাসন।
সম্মেলনের উদ্বোধক সিলেট জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি প্রকৌশলী এজাজুল হক সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সম্মেলন চলাকালিন সময়ে পরিচয় করিয়ে দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের একটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হওয়ায় সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুরসালিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডিবি পুলিশসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। উৎশৃঙ্খল ঘটনা এড়াতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে গোয়ালাবাজারসহ আশ-পাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারী করা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এটা ১৪৪ ধারা জারী থাকবে।