সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :বাঘা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের পর দফতরি কাম প্রহরী রিপন আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী মঙ্গলবার বিকেলে তাকে এ বরখাস্তের আদেশ দেন।
ঘটনার পর থেকে প্রহরী পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ ধর্ষক রিপন আলীর দুলাভাই বাবুল হোসেনকে আটক করেছে।
জানা যায়, উপজেলার বাজুবাঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম প্রহরী রিপন আলী বিয়ের আশ্বাস দিয়ে একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু গত তিন মাস আগে উপজেলার বলিহার গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে গত ১৯নভেম্বর ও ১৮ নভেম্বর স্থানীয় দু’টি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করানো হয়। এতে ওই কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসস্ত্বা বলে ধরা পড়ে। এরপর শ্বশুর-শাশুড়ি ওই ছাত্রীকে তার মায়ের সঙ্গে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। পরে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী রিপন আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন।বাঘা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী জানান, রিপনের নামে মামলা হওয়ায় তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলে চাকরি ফিরে পাবেন।বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহামুদ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর রিপনের দুলাভাই বাবুল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত রিপন আলীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।