বেরোবিতে বঙ্গবন্ধু হলের কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

সিলেট পোস্ট ২৪ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫, ৩:৫২ অপরাহ্ণসিলেটপোস্ট২৪রিপোর্ট :বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ‘বঙ্গবন্ধু হলের’ সংকট নিরসনে দায়িত্বরত সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মনিরুজ্জামান ও অফিস সহকারী মিলনকে চার ঘণ্টা তালাবদ্ধ কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহীনুর রহমানের আশ্বাসে তালা খুলে দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাদের তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের বিভিন্ন কক্ষে ইলেক্ট্রিক লাইট না থাকা, হল চালুর তিনমাস পরেও টেলিভিশন না দেয়া, রিডিং রুমের ব্যবস্থা না থাকা, গেস্ট রুম না থাকা, সম্পূর্ণ হলে মাত্র দুইটি পত্রিকা, বাথ রুমে ময়লা, হলের পাশের ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ, সময় মত ট্যাপে পানি না থাকা, নিয়মিত ট্যাপ পরিস্কার না করা, পানিতে দুর্গন্ধসহ নানান সমস্যার কথা হল প্রশাসনকে কয়েক দফায় অবহিত করেও সমস্যার সমাধান হয়নি।সমস্যার সমাধান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা হলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলে ভুক্তভোগিরা জানান।এ বিষয় সহকারী প্রভোস্ট আপেল মাহমুদ বলেন, ‘হলের কোন নিজস্ব ইলেক্ট্রিশিয়ান নেই। হলে বিদ্যুতের কোন সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের কাছে নির্ভর করতে হয়। যে পরিমান জনবল থাকা দরকার তা নেই। আমরা প্রভোস্টবডি থেকে সমস্যাগুলোর বিষয় কর্তৃপক্ষ বরাবর জানিয়েছি।’তিনি আরো জানান, ‘ইলেক্ট্রিক সমস্যার বিষয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী দপ্তরে একমাস আগে বলা হয়েছে। এছাড়াও হল প্রশাসনের নিজস্ব কোন ফান্ড না থাকায় শিক্ষার্থীদের যে অর্থ জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হওয়ার কথা ছিল। তা দিয়ে খন্ডকালীন দশজন লোক নিয়োগ এবং হলের অন্যান্য কাজ করা হচ্ছে। এই সমস্যাগুলো অনাকাক্সিক্ষত। এই অবস্থা চলতে থাকলে হল প্রশাসন অচিরেই সমস্যার সম্মুখীন হবে। আমরা আশা করছি কর্তৃপক্ষ এই সমস্যাগুলো দ্রত সমাধান করবে’।বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর শাহিনুর রহমান বলেন, ‘অবরুদ্ধ হওয়ার পর ওই কর্মকর্তা আমাকে ফোনে অবহিত করলে আমি শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো সমাধানের আশ্বাস দিই এবং অবরুদ্ধ কর্মকর্তার রুম খুলে দিতে বলি। এরপর তারা ওই কর্মকর্তার রুমের তালা খুলে দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়’।