সিলেটপোস্ট২৪রিপোর্ট :জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক হেলাল শিল্পী উমা খানের(স্ত্রী) যৌতুকের মামলায় জামিন পেয়েছেন।রোববার মামলাটির ধার্য তারিখে তিনি ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন শিল্পী উমা খান। ওইদিন আদালত ৩ জানুয়ারি হেলাল খানকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।বাদিনী উমা খানের পক্ষে আইনজীবী হাবিবুর রহমান পিন্টু মামলা পরিচালনা করেন। যৌতুক আইনের ৪ ধারায় দায়ের করা এই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি হেলাল খানের সঙ্গে উমা খানের বিয়ে হয়।বিয়ের সময় তার পরিবার ১০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং আসবারপত্রসহ মোট ১০ লাখ টাকার জিনিসপত্র দেয়। পরবর্তী সময়ে তাদের দুইটি পুত্র সন্তান ফয়সাল খান হেলাল (২৯) ও শৈবাল খান হেলাল (২৩) জন্মগ্রহণ করে, যারা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে।বিয়ের পর কিছুদিন তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো থাকলেও পরবর্তী সময়ে পরনারী আসক্ত হেলাল খান বাদিনীর কাছে ৬০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদিনী তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে বাদিনীকে মারধর করেন।
এতে বাদিনী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ওই সময় বাদিনী হেলার খানের বিরুদ্ধে মামলার করার প্রস্তুতি নিলে চতুর হেলাল খান বাদিনীর কাছে মাফ চাইলে বাদিনী মামলা করা থকে বিরত থাকেন।
এরপর কিছুদিন ভালো থাকার পর পুনরায় আসামি হেলাল খান প্রতিনিয়ত যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। সর্বশেষ গত ৭ ডিসেম্বর সে রোড নং-১১, বাড়ি নং- ১৫, অ্যাপার্টমেন্ট নং-৪/সি বারিধারার বাসায় বাদিনীর কাছে ৬০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদিনী টাকা না দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি বাদিনীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। একই সঙ্গে হুমকি প্রদান করেন যে, ৬০ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে বাদিনীকে তালাক দেবেন, প্রয়োজনে যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থারও (জাসাস) নেতা হেলাল খানকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নাশকতার দুই মামলায় গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তিন মাসের অধিক সময় তিনি মামলাগুলোয় কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান।
