নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রচার সামগ্রী অপসারণ করেন নি এখনো। নগরজুড়ে দিবসকেন্দ্রিক শুভেচ্ছা সম্বলিত প্রচার সামগ্রী সহাল রয়েছে। তবে ঈদের শুভেচ্ছা সম্বলিত তোরণ বিভিন্ন স্থান থেকে খুলতে দেখা গেছে। ৫ শতাধিক প্রার্থীর মধ্যে ২/৩ জন নিজে প্রচার সামগ্রী অপসারণ করেছেন।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে সামনে গত বছরের শেষ দিক থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা দিবসকেন্দ্রিক শুভেচ্ছা জানিয়ে কৌশলে নিজেদের প্রার্থীতার বিষয়টি জানান দেন। বিজয় দিবস, ইংরেজি নববর্ষ, দূর্গাপূজা, একুশে ফেব্রুয়ারি, বাংলা নববর্ষ, সর্বশেষ ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড তোরণ নির্মাণ করেন। প্রতিটি বিশেষ দিবস শেষ হলেই ২/৩দিন পর তোরণ খুলে নেওয়া হলেও পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন রয়ে যায় বহাল তবিয়তে। একেকটি দিবস শেষ হলে পরবর্তী বিশেষ দিবস পর্যন্ত শোভা পায় পোস্টার, ফেস্টুনগুলো। নতুন করে আবারো কোনো দিবস আসলেই আগের দিবসের ওপর নতুন দিবসের পোস্টার সাঁটানো হয়। এভাবে নগরের দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারের আস্তরণ বাড়তে থাকে। শুধু দেয়ালে নয়, নগরীর সকল বৈদ্যুতিক খুঁটিতেও পোস্টারের ওপর পোস্টারে আস্তরণ। এছাড়া ফেস্টুন, বিলবোর্ডও খুটিতে খুটিতে লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
এদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থীদের প্রচার সামগ্রী অপসারণের নির্দেশ জারি হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ২/৩ জন ছাড়া সকলের পোস্টার, ব্যানার বহাল তবিয়তে রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর তোরণ চোখে পড়লেও অন্য প্রার্থীদের তোরণের সংখ্যা কম দেখা যায়। অনেক প্রার্থীর শুভেচ্ছা সম্বলিত তোরণ খুলে নেওয়া হয়। যারা তোরণ খুলছেন, তাদের সাথে আলাপকালে জানান, এ সকল তোরণ শুধু শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ভাড়ায় নিয়েছেন প্রার্থীরা। ঈদের পর ৩/৪ দিন গেলে ডেকোরেটার্সেও লোকজন খুলে নিচ্ছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন, সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা এ ধরণের কাজ করছে, তারা নিজেদের বিবেকহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। আর যারা আইন মেনে নিজেদের প্রচারসামগ্রী অপসারণ করছে তারা সাধুবাদ পাওয়ার দাবিদার।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রার্থীদের প্রচারসামগ্রী অপসারণের নির্দেশনার চিঠি পেয়েছি। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন ও ভোট ২১ জুন। ৪২টি ওয়ার্ডে এবারই প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে।