কুলাউড়া প্রতিনিধি:: কুলাউড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে হোসাইন মুহাম্মাদ জিলান (২২) নামে এক তরুণকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
(৭ জুলাই) শুক্রবার রাতে সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জিলান উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই সন্ধ্যায় জিলান মোটরসাইকেলযোগে তার ছোটভাইকে বাসে তুলে দিতে শহরে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের দক্ষিণ বাজারস্থ বাসস্ট্যান্ডে জিলান তার ছোটভাইকে নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে আগে থেকে ওতপেতে থাকা ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জিলানকে ঘিরে ফেলে মারধর শুরু করে। জিলান প্রাণে বাঁচতে মোটরসাইকেল থেকে নেমে বাসস্ট্যান্ডের সম্মুখে আয়েশা টেলিকম নামক একটি দোকানে গিয়ে ঢুকে। ওই দোকানের সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায়, ভেতরে আশ্রয় নেওয়া জিলান নিজেকে না মারার জন্য হাতজোড় করে বার বার ক্ষমা চাচ্ছে। কিন্তু ৩-৪ জন নির্দয় তরুণ ধারালো অস্ত্র ও রড দিয়ে জিলানকে মারতে মারতে বাইরে নিয়ে আসে। একপর্যায়ে রক্তাক্ত জিলান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন।
সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় শুক্রবার রাতে জিলান মারা যায়।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জিলানের পিতা আব্দুল হামিদ মুঠোফোনে বলেন, মোটরসাইকেল মেকানিক গিয়াস মিয়ার ছেলে সাজু এবং তার সহযোগী আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে ৬-৭ জন মিলে আমার ছেলের উপর হামলা করেছে। ছেলেকে নিয়ে সিলেটে থাকায় কোনো মামলা করতে পারেননি। কুলাউড়ায় ফিরে তাদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রতন চন্দ্র দেবনাথ জানান, জিলানের লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে থানায় আনা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।