সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত চিহিৃত রাজাকার আব্দুল মতলিবের পূত্র সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে,তার সহোদর নবেল মিয়া,মেহেরাব হোসেন রুনেল ও রায়হানসহ ৮/১০জনের একটি সন্ত্রাসী দল দিরাই প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জুসেফকে হত্যার উদ্দেশ্যে দাড়াঁলো অস্ত্র,রামদা ও রড নিয়ে তার বাসায় ঢুকে ফিল্মি স্টাইলে হামলা চালিয়ে সাংবাদিকসহ তার ছোটভাইকে কুপিয়ে ও পিঠিয়ে রক্তাক্ত করে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় সস্ত্রাসীরা বাসার বাহিরে থাকা সাংবাদিকের মোটর সাইকেলটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এতে সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জুসেফ ও তার ছোট ভাই জোহান মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের ছোটভাই মেহেরাব হোসেন রুনেলকে পুলিশ আটক করেছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সাংবাদিক জুসেফের পৌরসভার আরামবাগের বাসায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে তাদের স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার প্রথমে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: রায়হান উদ্দিন উন্নত চিকিৎসা জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,জারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা নিয়ে পূর্ববিরোধ চলে আসছে সাংবাদিক জুসেফ ও চেয়ারম্যান জুয়েল এর পরিবারের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিবাধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সোমবার বিকেলে সরমঙ্গল গ্রামে সালিশি বৈঠক বসে। এ সময় চেয়ারম্যান ও তার ভাই ভাতিজারা সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জুসেফকে বেশী বাড়াবাড়ি না করতে সরাসরি হত্যার হুমকি দেয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাংবাদিক জুসেফ ও তার ভাই আরামবাগ নিজের বাসভবনে আসলে রাজাকার পূত্র চেয়ারম্যান জুয়েলের নেতৃত্বে সস্ত্রাসীরা দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে তাদের উপর হামলা চালায় হামলার শিকার হয়। এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। চেয়ারম্যান জুয়েল মূলত বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃত্ত বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক জাকারিয়া হোসেন জুসেফ জানান, আমার দাদা মৃত আচকির উল্ল্যাহ ১৫ বছর আগ থেকেই এই স্কুলের ভূমিদাতা কিন্তু জুয়েল চেয়ারম্যান হবার পর ১ মাস আগে স্কুলটির ভূমিদাতা হিসেবে তার পিতা মরহুম আব্দুল মতলিব নামে অর্ন্তভূক্ত করে। জুসেফ আরো বলেন আব্দুল মতলিব একজন চিহিৃত রাজাকার হিসেবে দিরাইয়ে সুপরিচিত ছিলেন ।
এ ব্যাপারে হামলাকারী সরমঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন জুয়েলের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন চৌধুরী হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলেও তিনি জানান।