সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট জেলা অটো টেম্পু অটোরিক্সা চালক শ্রমিক জোট, রেজিঃ নং ২০৯৭ এর অন্তভূক্ত হুমায়ুন রশিদ চত্বর উপ-কমিটির সাধারণ সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা স্থানীয় চাঁদাবাজ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। ধারাবাহিকভাবে শ্রমিকদের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন প্রায় ২ শতাধিক সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক। সন্ত্রাসীদের এসব অন্যায় কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ২ সেপ্টেম্বর সোমবার সিলেট জেলা অটো টেম্পু অটোরিক্সা চালক শ্রমিক জোট, রেজিঃ নং ২০৯৭ এর অন্তভূক্ত হুমায়ুন রশিদ চত্বর উপ-কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকরা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, হুমায়ুন রশিদ চত্বরের গ্রীণ লাইন বাস কাউন্টার ও আশপাশের ভুমির প্রকৃত মালিক ফয়জুন নেছা । তিনি উক্ত ভুমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তিনির ছেলে আব্দুল হাইকে প্রদান করেন। সিএনজি শ্রমিকরা আব্দুল হাইয়ের মরহুম পিতা মোশাহিদ আলী ও পরে আব্দুল হাইয়ের অনুমতিতে উক্ত ভুমিতে সিএনজি স্ট্যান্ড পরিচালনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের সুবিধার্থে সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন।
এই সিএনজি স্ট্যান্ড অন্যায়ভাবে দখল করার জন্য আলীম, মাহফুজ ও মাহবুব নামীয় ব্যক্তিরা পেশি শক্তির জোরে সিএনজি স্ট্যান্ড সরিয়ে সেখানে মোটর সাইকেল স্ট্যান্ড বসানোর পায়তারায় লিপ্ত। স্ট্যান্ডের নিরীহ চালকদের বার বার মারপিটসহ বিভিন্ন সময়ে বহিরাগত মোটর সাইকেল আরোহী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে সিএনজি শ্রমিকদের উপর তারা হামলা করে থাকে। বিবাদীরা প্রায় প্রতিদিন চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাদাঁ আদায়সহ শারীরিক নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।
বিগত ২০২২ইং সালের ২৫ জুন বিবাদীরা শ্রমিকদের উপর নির্যাতন চালালে তৎকালীন দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলামের উপস্থিতিতে আপোষে বিষয়টি মিমাংশা করে দেন। আপোষনামায় বিবাদীদের স্বাক্ষর রয়েছে।
এ ছাড়া পরে আরো কয়েকবার বিবাদীরা নিরীহ শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর রোটারিয়ান তৌফিক বকস্ লিপনের মধ্যস্থতায় সালিশ বিচারের মাধ্যমে বিরোধ নিম্পত্তি করে দিলেও চাঁদাবাজরা বার বার সালিশ বিচারক বা থানা পুলিশকে তোয়াক্কা না করে সর্বশেষ চলতি বছরের গত ২৪/০৯/২০২৩ইং আচমকা শ্রমিক সংগঠনের সদস্য মোঃ রাসেল আহমেদের উপর হামলা করলে রাসেল দক্ষিণ সুরমা থানায় লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগটি বর্তমানে তদন্ত করছেন দক্ষিণ সুরমা থানার এ এসআই রুস্তুম। বর্তমানে শ্রমিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তারা চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনসহ নিরীহ শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।