সিলেটপোস্ট ডেস্ক::চাকুরী স্থায়ীকরণ, বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ ও কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ৩ দফা দাবিতে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি পালন করেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘সিমেবি কর্মচারী পরিষদ’ এর উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হাতে হাত ধরে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মচারীরা। এসময় বিভিন্ন ধরনের প্লে কার্ড পদর্শন করেন। প্লে কার্ডে উল্লেখ্যযোগ্য লেখাগুলো হলো- “না খেয়ে আর কতকাল, এবার চাই অধিকার। ভিক্ষা নয়, বেতন চাই, অনুগ্রহ নয়, চাকুরী চাই। আর নয় কালক্ষেপণ, আমরা চাই বেতন ভাতা নিয়মিতকরণ, হয় স্থায়ীকরণ, না হয় মরণ। আমি ক্ষুধার্ত, খাবার চাই না, বেতন চাই।”
আন্দোলনকারীরা জানান, প্রায় এক বছর যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। নানা জটিলতার কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দু’দফায় জনবল নিয়োগের জন্য সার্কুলার আবেদন করলেও নানা জটিলতায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দীর্ঘদিন যাবত বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বারবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা: এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করলেও তিনি কেবল আশ্বস্তই করে যাচ্ছেন।
সিমেবি কর্মচারী পরিষদের সদস্য সচিব নাদিম সীমান্ত জানান, ৩ দফার বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচীর ডাকা দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
দাবিগুলো হলো, নিঃশর্তে সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ী করণ করতে হবে। প্রায় ১ বছর যাবত বেতন বন্ধ থাকায় কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাই অনতিবিলম্বে সকল বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ বেতন-ভাতা নিয়মিত করণ করতে হবে। কর্মস্থলে কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবিলম্বে নিজস্ব স্থায়ী জায়গায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।