বুলবুল আহমেদ,নবীগঞ্জ প্রতিনিধি::নবীগঞ্জ উপজেলা ব্যস্ততম জনবহুল আউশকান্দিতে কিছুদিন পর পর ব্যবসায়ীদের দোকান পাট সহ বাসা বাড়িতে চুরির হিড়িক পড়েছে। এসব ঘটনায় সিসি পোটেজ পুলিশ উদ্ধার করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি!
মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিক্সা ও বাসা বাড়িতে হানা দিয়ে একের পর এক চুরি করে আসছে। এ নিয়ে বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ।
অবশেষে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নুরুল হকের স্টক রোমের পাশ্ববর্তী অনুপম বিপনির ২য় তলায় সু- কৌশলে প্রবেশ করে দামী মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে বাজারের সচেতন মহল তাদেরকে সন্দেহজনক ভাবে আটক করে তাদের ধরতে সক্ষম হন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সকাল বেলা আউশকান্দি চেয়ারম্যান অফিসে সোপর্দ করা হয়। এমন কি এই বাজার এলাকায় স্বামী পরিত্যক্ত অনেক মহিলাকে বিভিন্ন বাসা বাড়ির মালিকরা তাদেরকে বাসা দিয়ে অনৈতিক কার্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির কুচক্রী । কিন্ত এদের বিরুদ্ধে যে কেউ-ই প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে নানা রকম হামলা মামলা সহ নানান নির্যাতন। গত ২৯ নভেম্বর গভীর রাতে হাতে নাতে দুঃসাহসিক চুরিকালে ধরাশায়ী হয় গোয়ালাবাজার এলাকার লায়েক (৩০), নবীগঞ্জের কালা ভরপুর গ্রামের রুবেল মিয়া (২৭) সহ ৩জনকে আটক করেন স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীরা। তাদের জবানবন্দিতে পাওয়া যায় অনুপম বস্ত্র বিতানের অনেক দামী মালামাল চুরি করে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহেল আহমদের সাছে কথা হলে তিনি বলেন, চুর যেই হয় না কেন আমরা তার সুষ্ঠ বিচার চাই। এবং পর্বে আরো অনেক বার অনেকের দোকান ঘর চুরি হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ধরা ছোয়ার বাহিরে! এই সকল চুরদের কঠোর ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
এমনকি আউশকান্দি এলাকায় ইদানীং গাঁজা, ইয়াবা সহ স্বামী পরিত্যক্ত পতিতা নিরভয়ে চালিয়ে যাছে এসব অপকর্ম। তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে ঐ সব পতিতা দিয়ে মামলার ভয় দেখালে কেউ আর প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
মূলত এসব কাজে অনেকেই প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে আউশকান্দি ইউনিয়নের নবীগঞ্জ থানার ভিট অফিসার গৌতম দাশের সাথে কথা হলে কথা হলে তিনি বলেন, শুনেছি, তবে, কারো কোন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাই নি।
এ ব্যপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুক আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে, আমি বিষয়টি দেখছি। আরেকটি সুত্রে জানা যায়, জনতার হাতে ধরাশায়ী এই ৩ চুরকে রহস্য জনক কারনে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে চেয়ারম্যাননের জিম্মায় রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। তবে, চেয়ারম্যান দিলাওর হোসেনের মোবাইল নাম্বারে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি! এ ঘটনার পর থেকে সচেতম মানুষের মধ্যে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ।