সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট নগরের শাহপরান এলাকার আলোচিত ভুমি জালিয়াত সেলিম আহমদকে কারাগারে প্রেরন করেছেন আদালত। দুদকের তদন্তে জালিয়াতি প্রমানিত হয়ে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারির পর মঙ্গলবার সিলেট মহানগর আদালতে গিয়ে আত্মসর্ম্পন করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তার কারান্তরীণ হওয়ার খবরে শাহপরান এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। গ্রেপ্তার হওয়া সেলিম আহমদ শাহপরান এলাকার লালখাটঙ্গী গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে।
শাহপরান এলাকার লালখাটঙ্গী ও ধনুকান্দি গ্রামের মধ্যখানে থাকা লন্ডন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ সহ তার ভাইদের সাড়ে ১৮ শতক ভুমি নামজারীর মাধ্যমে জালিয়াতি করে বিক্রি করে দেন সেলিম আহমদ। এ নিয়ে ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে সিলেটের মহানগর দায়রা জজ স্পেশাল আদালতে মামলা দায়ের করেন সাদ উদ্দিন আহমদের ভাই আলতাফ হোসেন লোকমান।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তদন্তের জন্য পাঠান।
সিলেট দুদকের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন গত ১৩ই মার্চ আদালতে আলোচিত ভুমি জালিয়াত সেলিম আহমদ সহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হচ্ছেন-মোগলাবাজার থানার শারপি গ্রামের আব্দুস সুবহানের ছেলে মো. আফরোজ মিয়া ও মো. জিতু মিয়া, সদর ভুমি অফিসের তৎকালীন জারিকারক মো. শমসের আলী, বহর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী কর্মকর্তা মো. রোকন আহমদ, মো. শামসুল আলম, সদর ভুমি অফিসের কানুনগো মলয় কর।
মামলার এজারের সত্যতা পেয়ে চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন; ভুমির একই দাগের অপর অংশের মালিক মমরহুম আব্দুস সুবহানকে জীবিত দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুমির নামজারী করে। ভুমি প্রকৃত মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ ও ভাই বোনেরা।
জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে চার ভুমি কর্মকর্তা সহ ৭ জনকে দোষি সাব্যস্থ করা হয়।
বাদি আলতাফ হোসেন লোকমান পক্ষের আইনজীবি আব্দুস শহীদ জানিয়েছেন; চার্জশিট দাখিলের পর ৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।
মঙ্গলবার সেলিম আহমদ আদালতে এসে আত্মসর্ম্পন করলে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেওয়া হয়। অপর ৬ আসামি পলাতক রয়েছেন।