সিলেটপোস্ট ডেস্ক::কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার অভিযোগে সিলেট মহানগর পুলিশের ৩ টি থানায় ১১টি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে নাশকতার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দসহ দুই শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুলিতে নিহত সাংবাদিক তুরাব সহ সহিংসতার অভিযোগে করা সবকটি মামলার বাদী পুলিশ। কেবল একটি মামলার বাদী কুমারগাঁও বিদ্যুৎ বিভাগ।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, কোটা সংস্কারের দাবিতে সিলেটে সহিংসতার ঘটনায় ৩ থানায় হয়েছে ১১টি মামলা। এর মধ্যে মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় ৬, জালালাবাদ থানায় ৪, দক্ষিণ সুরমা থানায় ১ মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, নাশকতাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করে যাচ্ছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত মহানগরী এলাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানায় দুই, জালালাবাদ থানায় এক, দক্ষিণ সুরমা থানা একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবমিলিয়ে গত ১৭ জুলাই থেকে শনিবার পর্যন্ত ১৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, সবকটি মামলা পুলিশ অ্যাসাল্ট, সরকারি কাজে বাধা, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা। এর মধ্যে জালালাবাদ থানায় করা একটি মামলার বাদী কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা)। এসব মামলার এজাহারে আড়াই শ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার জনকে। আজ রবিবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত ১৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী এবং শিক্ষার্থী।