সিলেটপোস্ট ডেস্ক::মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডভোকেট মো. সাইদুর রহমান বলেছেন, সকল নাগরিকের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তিনি বলেন, গুম এবং ক্রসফয়ারের নামে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছিল, যার মধ্য দিয়ে সমাজে বিভীষিকার অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারছিল না। সমাজে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করে, লুটপাটের অর্থনীতি বিকশিত হয় তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলোও অসহায় হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট সুক্ষ্ম বিভাজনের বিষয়ে না জানার কারণে অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কিছু ফাঁক থেকে যায়। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করতে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল সংস্থার সংখ্যাও হাতে গোনা। মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের মধ্যে পার্থক্যে আছে। একজন মানুষ, মানুষ হিসেবে জন্মেছে বলেই এমানবাধিকারগুলো দাবি করতে পারে। চলাচলের অধিকার, জীবনের অধিকার, ন্যায়বিচার পাওয়ারঅধিকার, বাকস্বাধীনতা এগুলো মানবাধিকার আবার এগুলো মৌলিক অধিকারও। রাষ্ট্র যে মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানে সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে কখনও কখনও রাষ্ট্র তাও পালন করে না।
তিনি শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর নাইওরপুলস্থ একটি কনফারেন্স হলে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন-এমএসএফ এর সহযোগিতায় ও রিলায়েন্ট উইমেন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-আর.ডব্লিউ.ডি.ও, সিলেটের আয়োজনে ডিফেন্ডিং হিউম্যান রাইটস্ থ্র নেটওয়ার্ক স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট এর আওতায় কোয়াটারলি ডিস্ট্রিক লেভেল নেটওয়ার্কিং মিটিং উইথ্ হিউম্যান রাইটস্ ডিফেন্ডারস্ -এইচআরডিএস এর শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রকল্প সমন্বয়ক মো. জাহিদুল ইসলাম রশীদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কনসালটেন্ট মো. রোকন উদ্দিন, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী টিপু সুলতান, উন্নয়নকর্মী সমিক শাহিদ জাহান, মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুল করিম কিম, সমীতা বেগম মীরা।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উন্নয়নকর্মী মো. মহসিন রেজা, বাবুল কুমার সিংহ, ব্লাস্ট সমন্বয়ক সত্যজিৎ দাস, সাংবাদিক এইচ এম শহীদুল ইসলাম, রেজওয়ান আহমদ, উজ্জল, লোকমান আহমদ, উন্নয়নকর্মী মো. আমিনুল ইসলাম, অনিক আহমেদ অপু, মো. নাসির উদ্দিন, সাবিহা সুলতানা হ্যাপি, আব্দুস শহিদ খান, ৬নং টুকের বাজার ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার দিপালী গোয়ালা, চা শ্রমিক বৃষ্টি গোয়ালা, স্বেচ্ছাসেবী সৈয়দ সায়েখ আহমদ, রুজি আক্তার মিম, রেবা সিনহা, এলি দাস, অষ্টমনি লোহার, সমীক লোহার, আদনান হোসাইন মেহদী প্রমুখ।