সিলেটপোস্ট ডেস্ক::বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ও সিলেট ৫ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিস চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তঁার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর হযরত শাহজালাল মাজার প্রাঙ্গণে এই দোয়া মাহফিল সম্পন্ন হয়।
আবু বক্কর সিদ্দিক’র পরিচালনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পূর্ব আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী, মো. নাইম শফী চৌধুরী, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন), বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গুম হওয়ায় এম. ইলিয়াস আলীর ছেলে আবরার ইলিয়াস অর্নব, জাকীর ফাউন্ডেশন’র প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন প্রাবসী মো. জাকীর হোসেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা সাংবাদিক মো. ইসলাম আলী।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পূর্ব আলোচনাসভায় বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিস চৌধুরীর কৃতিত্ব সর্বজনবিদিত। বৃহত্তর সিলেটসহ দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য সিলেটবাসী তাকে মনে রাখবে। কীর্তিমান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও তার অভাব অনুভব করছেন সিলেটের মানুষ।
উপস্থিত ছিলেন মরহুম হারিস চৌধুরীর ভাতিজা রাহাত চৌধুরী, ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন, সাংবাদিক শাহজাহান সেলিম বুলবুল, সুমন আহমদ, ফখর“ল ইসলাম, সিলেট সামাজিক ছাত্র আন্দোলন’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজাম উদ্দিন টিপু, সিলেট ল’ কলেজ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিলেট ল’ কলেজ সমন্বয়ক হিলাল উদ্দিন শিপু, কামন আহমদ, আসনাত উদ্দিন জাহিন, মিলাদ আহমদ, মিরাবাজার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আহমদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মনসুর আলী, কোষাধ্যক্ষ রাজন পাল, কামাল আহমদ, সাদ্দাম আহমদ, সোহাগ আহমদ, ফয়সাল আহমদ, কবির আহমদ, দয়াল আহমদ, আলামীন আহমদ, আবুল কামাল, সাদেক আহমদ, সাইদুল ইসলাম লেছু, মো. তুহিন, মো. রমজান, সাংবাদিক শুয়েব আহমদ প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা জসিম উদ্দিন। পরে শিরনী বিতরণ করেন মরহুম আবুল হারিস চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিস চৌধুরী ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যোগ দেন জাগদলে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
বিএনপি গঠনের পর সংগঠনটির সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক হন হারিছ। পরে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সহসভাপতি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৯ ও ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন হারিছ, তবে ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী হন হারিছ। আর ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হারিছ চৌধুরীকে রাজনৈতিক সচিব করেন খালেদা জিয়া।