সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেটের কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে চারজন ও সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় একজনসহ সিলেট বিভাগে পাঁচজন মা-রা গেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।
জানা যায়, কানাইঘাটজুড়ে শনিবার দুপুর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও মৃধু বাতাসের সাথে প্রচন্ড বজ্রপাত হতে থাকে।
বিকেল ৪টার দিকে বজ্রবৃষ্টির সময় কানাইঘাট পৌরসভার উত্তর দলইরমাটি (খেলুরবন্দ) গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে নুর উদ্দীন (৬০)-সহ আরও কয়েকজন গ্রামের একটি জায়গায় মাছ ধরতে যান।
এসময় প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হয় এবং এতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নুর উদ্দীন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বজ্রপাতে নুর উদ্দীনের সাথে থাকা আরও ৪ জন জলসে গিয়ে আহত হলে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়
।অপরদিকে, উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কেউঠি হাওর গ্রামের জমশেদ আলীর ছেলে কালা মিয়া বিকেল ৫টার দিকে গ্রামের একটি ক্ষেতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করার সময় বজ্রঘাতে ঘটনাস্থলেই মরা যান।
এর আগে দুপুরে জৈন্তাপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- উপজেলার নয়াগ্রাম আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৭) ও ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫)।
এর মধ্যে আব্দুল মান্নান মাঠে কাজ করছিলেন। এসময় দুপর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রাঘাতে মাঠেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অপরদিকে নাহিদ বাড়ির পাশেই একটি স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় বজ্রপাত তার উপরে পড়লে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।
এদিকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বজ্রপাতে দ্বীন ইসলাম (৬৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত দ্বীন ইসলাম চরপাড়া গ্রামের মৃত সুলুতু মিয়ার ছেলে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের সিরাজপুর চরপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, দ্বীন ইসলাম বাড়ির অদুরে একটা জমির পাশে মাঠে ধৈনচা (পাট শাক), মরিচ, লাকড়ি শুকাতে দেন। হঠাৎ করে বৃষ্টি পড়তে দেখে তিনি শুকাতে দেওয়া ধৈনচা ও মরিচ গোছানোর জন্য গেলে বজ্রপাতে মারা যান তিনি।
বজ্রপাতে কৃষক মৃত্যুর সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বম্ভপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কাওসার আলম।