সিলেটপোস্ট ডেস্ক::মোঃ সোহেল রানা ছাত্রলীগের প্রভাব কাটিয়ে দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির উন্নয়ন প্রকল্পে দপ্তরী পদে নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এসব দুর্নীতি ও প্রভাব প্রতিপত্তি ধরা পড়লে উক্ত প্রকল্প থেকে তাকে সিলেট সরকারী তিব্বিয়া কলেজের দপ্তরী পদে বদলী করা হয় (স্মারক নং সইআডিক/পিও/৯৬/২৫২; তাং ২৬/৯/১৯৯৬ইং)। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারী নিয়োগ প্রতিপালন না করে ব্যাপক অনিয়ম করার বিষয়টি ধরা পড়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট ফলে বেতন ভাতা ও আহরিত অর্থ ফেরত দিতে পত্র জারি হয় (স্মারক নং স্বাস্থ্য/অধি/হিসাব/নিয়োগ/১ন-১/২০১১/২২৬২; তাং ০৭/০৯/২০১১ইং) এ বিষয়ে দপ্তরী সোহেল রানা টাকা ফেরত না দিয়ে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের তদন্তে আরো ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় কমিটি গঠন করা হয় (স্বারক নং ডিজিএইচএস/শৃঙ্খলা-৬৫/১৩/২১৯৭; তাং ৬/৫/২০২৩ইং) এবং কলেজ অধ্যক্ষ দপ্তরী সোহেল রানা সহ সকলকে উপস্থিত থাকতে অফিস বিজ্ঞপ্তি জারী করেন (স্মারক নং এফ- ৩৬/সঃতিঃকঃ/তদন্ত সংক্রান্ত/২০১৩-২০১৪/২৩৯; তাং ২১/৮/২০১৩ইং) এবং তদন্ত প্রতিবেদ চাইয়া স্বাস্থ্য অধীদপ্তরে পত্র প্রেরণ করেন, বিএমএ নেতা ডাঃ মোঃ ইহতেশামূল হক চৌধুরী দুলালের প্রভাব খাটিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন কলেজ হতে গায়েব করেন (স্মারক নং এফ-৩৬/সঃতিঃকঃ/২০১৪-২০১৫/৩০; তাং ০৫/৮/২০১৪ইং) এরপর আরো বেপরোয়াভাবে ডাঃ দুলালের প্রভাব খাটিয়ে সহকারী পদে ৪৭০০-২৬৫৭-৬৫৫৫-ইবি-২৯০-৯৭৪৫/= টাকা স্কেলে পদোন্নতি গ্রহণ করেন এবং মোঃ সোহেল রানার দপ্তরী পদটি শূণ্য বলে ঘোষণা করা হয় (স্মারক নং এফ- ১৭১/সঃতিঃকঃ/২০১৫-২০১৬/৮৮, তাং ০৩/১১/২০১৫ইং)। সহকারী হিসেবে পদোন্নতি বিষয়টির অনিয়ম ধরা পড়লে পূর্বের পদে অর্থ্যাৎ দপ্তরী পদে ফিরে যেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পত্র জারি করেন (স্মারক নং স্বাঃঅধিঃ/প্রশা-৪/বিবিধ-৪৮/২০২৪/৯৯৮; তাং ০৭/৩/২০১৭ইং) এরপরও দপ্তরী সোহেল রানার পদোন্নতি থেমে থাকেনি। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডাঃ মোঃ ইহতেশামূল হক চৌধুরী দুলালের প্রভাব খাটিয়ে কলেজের লোভনীয় ক্যাশিয়ার পদটি দখলে নেন স্থানীয় সাবেক সাংসদ আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাগনি জামাই ডাঃ মোঃ মহিবুর রহমান খানকে দিয়ে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব নেন (স্মারক নং এফ-১৭১/সইআমেকহা/২০১৭-২০১৮/৪৫, তাং ০৯/৯/২০১৭ইং) শূরু হয় আর্থিক অনিয়ম, ভূয়া বিল ভাউচার, মোবাইল বন্দ করে অফিস ফাঁকি দেয়া শুরু করে, যা সরকারী কর্মচারী আচরণবিধি ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী, তার বিরুদ্ধে কৈফিয়ত তলব করা হয়। যার সদুত্তোর দিতে পারেনি দপ্তরী সোহেল রানা (স্মারক নং এফ-১৭১/সইআমেকহা/২০২১/১৪০; তাং ০৬/৫/২০২১ইং)। এসব বিষয়ে সোহেল রানার নিকট কৈফিয়ত তলব, অবৈধ পদোন্নতি, ভূয়া কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সনদ, জাল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ কলেজ অফিস থেকে লুকিয়ে ফেলে বহু খোজাখুজি করে পাওয়া যায় নি। কিন্তু সোহেল রানা এখন দপ্তরে চাকুরীর কাগজগুলো জমা দেন নি (স্মারক নং এফ-১৭১/সইআমেকহা/২০২১/১৪১; তাং- ০৮/৫/২০২১ইং)। মোঃ সোহেল রানা দপ্তরী হয়েও বিরাট অংকের টাকা খরচ করে মেয়ে মোছাঃ রাহাতুর নুর জুঁইকে (২০২০-২০২১) শিক্ষবর্ষে একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজের পড়াশোনা (এমবিবিএস) করাচ্ছেন।
দপ্তরী এসব অনিয়ম নজরে পড়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয় পত্র জারী হয় (স্মারক নং ৫৯.০০.০০০০.১১১.২৭.০০১.২১-১২৫; তাং ২৮/৬/২০২২ইং) কিন্তু ডাঃ দুলালের অদৃশ্য শক্তির ইশারায় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। দপ্তরী সোহেল রানা বিধি বহির্ভূতভাবে ক্যাশিয়ার পদে পদোন্নতি গ্রহণ করায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কারণ দর্শানোর পত্র দাখিল করতে পত্র জারী করেন (স্মারক নং ৫৯.০০.০০০০.১১১.১২.০১৮.২২-৪২; তাং ০৭/৩/২০২৩ইং) সঠিকভাবে কাগজপত্র জমা দিতে না পারায় সোহেল রানার ক্যাশিয়ার পদটি পদোন্নতি বাতিল করে সম্পূর্ণ বিধিবহির্ভূতভাবে ঘোষণা করে পত্রজারী করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ (স্মারক নং ৫৯.০০.০০০০.১১১.১২.০১৮.২২-১১৭; তাং ০৫/৭/২০২৩ইং) কিন্তু তৎকালীন অধ্যক্ষ ও বর্তমান অধ্যক্ষ অদৃশ্য কারণে তাকে বাতিল করে পূর্বের পদে ফেরত নিচ্ছেনা এবং এ নিয়ে কোন ধরনের শাস্তি প্রদান করছেন না।
পঠিত : 38
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন