মীর শোয়েব, জৈন্তাপুর::সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লাবনী, জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, তামাবিল হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, জাফলং টুরিস্ট পুলিশ জোনের ইনচার্জ শাহাদাৎ হোসেন, ১৭ পরগণা শালিস সমন্বয় কমিটির সভাপতি আবু জাফর মৌলা আবুল চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও দরবস্ত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ্, ফতেহপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মতিন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ ও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির নাজমুল ইসলাম।
এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইন্তাজ আলি, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, চারিকাঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম ও দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার।
এ সময় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জেলা প্রশাসকের নিকট বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। বক্তব্যে প্রথমে তারা জুলাই আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জৈন্তাপুর উপজেলার অন্যতম কর্মসংস্থান বালুমহাল ও পাথর কোয়ারীগুলো খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান। পাশাপাশি ক্রাশার মিলগুলো চালানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। এর সাথে জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতারা তামাবিল মহাসড়কের বেহাল দশা তুলে ধরেন। তারা মহাসড়কের সংস্কার করাসহ চার লেন রাস্তার কাজের অগ্রগতি বাড়ানোর আহ্বান জানান। এ সময় বাজারের ব্যবসায়ীরা উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
এ সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিগত সরকারের অনেক নেতাকর্মী সরকারি জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। সেগুলো দখলমুক্ত করার আহ্বান জানান তারা। সেই সাথে উপজেলার দুর্গম এলাকায় সুপেয় পানির নিশ্চয়তা প্রদানে গভীর নলকূপ স্থাপনের আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার জন্য দাবি জানানো হয়। সবশেষে সর্বমহল থেকে জৈন্তাপুরের ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য সর্বোতভাবে জোর দাবি জানানো হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সব সমস্যা ও দাবির কথা শোনেন এবং পর্যায়ক্রমে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সরকার গণমানুষের কল্যাণে কাজ করছে। সে জন্য উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বায়ত্ত্বশাসিত, পেশাজীবী সংগঠনের সকলকে সরকারি সকল দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতার পাশাপাশি বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুল হক, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার, প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাসান আহমেদ চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ আল আমিন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমান, আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা নাজমা বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, শিক্ষা কর্মকর্তা আবেদ হাসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলা জামায়াতের আমির মাষ্টার আবুল হোসেন, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এম রুহেল, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান করিম সাব্বির, ছিন্নমূল মিনি স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, শ্রীপুর পাথর কোয়ারীর সভাপতি আব্দুল আহাদ, বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নর সভাপতি আলি আকবর, তামাবিল বাস মালিক সমিতির সভাপতি নূর উদ্দিন, সারী বারকি শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আমির আলিসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, খেলাফত মসলিস নেতৃবৃন্দ, ইউপি সদস্যগণ, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি, চা শ্রমিকদের প্রতিনিধি, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক প্রতিনিধিসহ সামাজিক পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।