সংবাদ শিরোনাম
খুলতে যাচ্ছে সিলেটের পাথর কোয়ারি  » «   সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৭০ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য আটক  » «   ১৯ বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় কসমেটিকস, মদ ও পশুসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার চোরাই পণ্য আটক  » «   শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বি‌ক্ষোভ মি‌ছিল ম‌ানববন্ধন  » «   সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে প্রায় ২ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকার চোরাই পণ্য আটক  » «   ২৭নং ওয়ার্ডে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল  » «   জিয়াউর রহমান কৃষকদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে নিজেই মাঠে নেমে কাজ করেছেন-হুমায়ূন কবির শাহীন  » «   জৈন্তাপুরে টাস্কফোর্সের অভিযান, বালু বোঝাই ট্রাক জব্দ  » «   কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবী-খতমে নবুওয়াত মহাসম্মেলনে বক্তারা  » «   দেশ ও জাতির কল্যাণে শিক্ষার্থীদেরকে সর্বদা নিবেদিতপ্রাণ থাকতে হবে-আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী  » «   সিলেট নগরীর ৪২ নং ওয়ার্ড কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন  » «   সিলেট মহানগর কৃষক দলের সকল ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত  » «   গোয়াইনঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বাংলাদেশি ৪ নারী আটক  » «   সিলেট সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ৯৩ লক্ষাধিক টাকার চোরাই পণ্য আটক  » «   দোয়ারাবাজারে পৃথক অভিযানে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামি আটক ৭  » «  

সিলেটে ইন্টার্নশিপ ছাড়াই পাওয়া যায় ইউনানী বোর্ডের চিকিৎসক নিবন্ধন, নেপথ্যে দপ্তরী সোহেল রানা

সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজে ভূয়া ইন্টার্নশিপ সনদ দিয়ে এবং  ইন্টার্নশিপ ছাড়াই পাওয়া যায় ইউনানী বোর্ডের চিকিৎসক নিবন্ধন। এ চক্রের নেপথ্যে কাজ করছেন কলেজের দপ্তরী সোহেল রানা। খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে পাওয়া যায় নানান অভিযোগ ও প্রমাণাদি।

জানা যায়- সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার শেরপুর গ্রামের মো. আর্জমন্দ আলীর পুত্র মো. লায়েক আহমদকে ভূয়া ইন্টার্নীশীপ দেখিয়ে পেশাগত চিকিৎসক নিবন্ধন যার নং এ-১৬৮৯ দেয়া হয়েছে।  অথচ মো. লায়েক আহমদ সরকারি তিব্বিয়া কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেন নি। তিব্বিয়া কলেজের ইন্টার্নীশীপ রেজিস্টারে মো. লায়েক আহমদের নাম নেই। সাবেক শিক্ষক ও অধ্যক্ষের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া ইন্টার্নশিপ সনদ দেখিয়ে তিনি এ সনদ পেয়ে যায়। মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে কলেজের একটি চক্র তাকে এই সনদ পাইয়ে দেয়।

কেবল লায়েকই নয়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সিলেট সরকারি ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হতে ভূয়া ইন্টার্নীশীপ সনদ হাসিল করেন কানাইঘাট উপজেলার পাত্রমাটি গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র অলিউর রহমান। তার  নাম তিব্বিয়া কলেজের ইন্টার্নি রেজিস্টারে নেই, এমনকি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ফুলবাড়ি আজিরিয়া মাদ্রাসা থেকে অলিউর কখনো দাখিল পাশই করেন নি। তারপরও অলিউর রহমানকে ইউনানী বোর্ড থেকে ডিইউএমএস পাশ সনদ দেয়া হয়েছে, যার নং ৮৬৬; তারিখ ৩০/১২/২০০৪ খ্রিস্টাব্দ। ডিইউএমএস পেশাগত সনদের পাশাপাশি ইউনানী এ-ক্যাটাগরির চিকিৎসক নিবন্ধনও পেয়ে যান, যার  নং এ-১০৩৪; তারিখ ১৭/০২/২০১৮ খ্রিস্টাব্দ।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বোর্ড সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন সোহেল এর নাম ইন্টার্নশিপ রেজিস্টারে না থাকা সত্ত্বেও অনিয়মের আশ্রয়ে চিকিৎসক নিবন্ধন নিয়ে সিলেট বিভাগে বোর্ড সদস্য হয়েছেন।

সিলেট সরকারি ইউনানী আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও ইউনানী বোর্ড সূত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির আরো বহু প্রমাণ পাওয়া যায়। গোলাপগঞ্জ উপজেলার মো. আশরাফ আলী পুত্র জাহেদুর রহমান জাহেদের নাম ইন্টার্নশিপ রেজিস্টারে নেই এবং এসএসসি বা দাখিল পাশের কোনো সনদ না থাকলেও দপ্তরী সোহেল রানাকে ম্যানেজ করে ডিইউএমএস পাশের প্রশংসাপত্র ও ইন্টানিশীপ সনদ পেয়েছেন। জকিগঞ্জের আব্দুল আজিজের মেয়ে দিনা আক্তার সরকারী ইউনানী কলেজে পড়াশোনা করে সনদ পেয়েছেন আয়ুর্বেদিক বিভাগের ডিএএমএস। দিনার নামও ইন্টার্নি রেজিন্টারে নেই, অথচ যাদুবলে তিনিও পেয়ে যান ইউনানী চিকিৎসক নিবন্ধন, যার নং-১২৩৬।

অনুসন্ধানে এসকল অনিয়ম ও দুর্নীতির মূলে ইউনানী বোর্ডের সাবেক রেজিস্টার একেএম হারুনুর রশিদের নাম উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে সরকারি তিব্বিয়া কলেজের দপ্তরী সোহেল রানা ও সিলেট বিভাগের ইউনানী বোর্ড সদস্য মো. মনোয়ার হোসেন সোহেলের নেতৃত্বে একটি চক্র হারুনকে এ কাজে সহযোগিতা করছে।

এদিকে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে সিলেট বিভাগের ইউনানী চিকিৎসক, শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহলে। তারা অবিলম্বে এসব পেশাগত চিকিৎসক সনদ বাতিল এবং এর সাথে জড়িত হারুন, সোহেল, মনোয়ারসহ পুরো চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.