সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার এ এস এম আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, মানসম্মত শিক্ষার চাহিদা পূরণে ঐকান্তিকভাবে কাজ করছে মুহিবুর রহমান একাডেমি। শিক্ষার্থীদের দৈহিক, মানসিক, নৈতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান যেভাবে দায়িত্ববোধ ও কর্তব্যনিষ্ঠা দিয়ে কাজ করছেন, তাতে এ প্রতিষ্ঠান সমগ্র বাংলাদেশে শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে।
সিলেট নগরীর দর্শনদেউড়ির পায়রা-৪৫-তে অবস্থিত মুহিবুর রহমান একাডেমি’র উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানের এক যুগপূর্তি উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী উৎসবের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
একাডেমির প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন’র সভাপতিত্বে গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একাডেমির রেক্টর সালমা খানম চৌধুরী, পায়রা সমাজকল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান দুদু। একাডেমির উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইমদাদ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর আব্দুশ শহীদ চৌধুরী জিয়া। শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন একাডেমির শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাবরুর। উল্লেখ্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের সমন্বয়ে আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে মুহিবুর রহমান একাডেমি। এ হিসেবে এক যুগ পূর্তিতে নানামুখী আয়োজন করে এ প্রতিষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিনের আয়োজন ছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, গান, সংগীত, নাচ, নৃত্যসহ নানাবিধ বিষয়।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে স্বাবলম্বী, দক্ষ এবং নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে যাত্রা শুরু করে মুহিবুর রহমান একাডেমি। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, এ প্রতিষ্ঠান তার এক যুগ সফলতার সাথে অতিক্রম করেছে। এর পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের একনিষ্ঠতা।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামছ উদ্দিন বলেন, অধ্যাপক মুহিবুর রহমান একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি শিক্ষাঙ্গনের অগ্রদূত। তিনি স্বপ্নের চাষ করেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরকে উজ্জীবিত করেন। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে মুহিবুর রহমান একাডেমি।