সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের ক্ষমতার দাপটে অসহায় জেলার সাধারণ জনতা। পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসরদের সাথে নিয়ে তিনি জেলাব্যাপী জোর জুলুমের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক ১৪৩২ বঙ্গাব্দে সুনামগঞ্জ জেলার ৪টি বালু মহাল ইজারার জন্য উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রের তফসিল অনুযায়ী গত ১৬/০২/২০২৫ এবং ১৭/০২/২০২৫ তারিখ দরপত্র আবেদন ফরম বিক্রয় শুরু ও বিক্রয় শেষের তারিখ নির্ধারিত ছিল, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা-১ এবং যাদুকাটা-২ বালু মহালের দরপত্র ফরম ১৬/০২/২০২৫ তারিখ বিক্রয় করা হয় নাই, ১৭/০২/২০২৫ বিক্রয় করা হলেও ছবিতে ক্যাপ পরিহিত তাহিরপুর উপজেলার বাঁধাঘাট এলাকার সুমন বর্তমান ঠিকানা শহরের ষোলঘর, জেলা যুবদলের নেতা পরিচয় দিয়ে তার সহযোগী জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু’র ভাই সাজু ( লাল গেন্জি পরিহিত), বিগত আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুটের বাহিনীর প্রধান সুনামগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইস্পাহানি’র ভাই ৫ ই আগস্ট পটপরিবর্তনের পর খোলস পাল্টিয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুলের আস্থাভাজন হয়ে উঠা সাদা চেক গেঞ্জি পরিহিত শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভুবন সহ ১৫/২০ জন নুরুল ইসলাম নুরুলের ঘনিষ্ঠ সহোযোগী দরপত্র ক্রয় করতে প্রকাশ্যে বাধা দেয়।
এসময় তাহিরপুর উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের ডালিম মিয়া নামের একজন দরপত্র ফরম ক্রয় করলে তার নিকট থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে। এই কারণে সাধারণ ব্যাবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতংক বিরাজ করছে।
পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দোসরদের যোগসাজশে এই বিএনপি নেতার সীমাহীন অনিয়ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ফুসে উঠছে সুনামগঞ্জের সচেতন জনতা। তারা এই নৈরাজ্য থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির হাই কমান্ডের সুদৃষ্টি কামনা করেন।