
তিনি বলেন, দেশে একের পর এক নারীকে হেনস্থা ও আক্রমণ এবং সামগ্রিক বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছে, তা রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বিচারহীনতার এমন সংস্কৃতির কারণেই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা থামছে না। সামাজিক অবক্ষয়ের মাধ্যমে আজ নারীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং এর পেছনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র রয়েছে। এই অসভ্যতা ও সহিংসতার পেছনে যারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা লিপ্ত সেই সকল উগ্রগোষ্ঠী উস্কানি বা মদদ প্রদান করছে।
মাগুরায় শিশু আছিয়ার ধর্ষণ নিয়ে তিনি বলেন, ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। শিশুটির শরীরে হায়েনার মতো আক্রমণ করে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরোও ঘটতে থাকবে। তাই ধর্ষকের প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। যাতে এমন জঘন্য অপরাধ করার আর কেউ সাহস না পায়। এছাড়া আমরা দেখেছি বিগত ফ্যাসিস সরকারের আমলে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির আইন করা হলেও সেটার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি। তাই দ্রুত এসব অপরাধের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন ধর্ষণ, অনলাইনে হেনস্তা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম সিলেটের উদ্যোগে বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে নগরীর দরগামহল্লাস্থ একটি হোটেলে প্রতিবাদ সভা ফোরামের আহবায়ক ডা. মোঃ শাহনেওয়াজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তাহসিন শারমিন তামান্নার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি খালেদ আহমদ।
সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল পিপি এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, এপিপি এডভোকেট মোবারক হোসেন, অধ্যাপক আব্দুল মুনিম পারভেজ, জেলা বিএনপির সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুলতানা রহমান দিনা, জলি পুরকায়স্থ, জান্নাত জামান চৌধুরী, মো. সোলেমান খান মিন্টন, মো. নাজমুল হক, মাহবুব আলম, মাহবুব শেখ, শফিউল আলম, মোবারক হোসেন তুহিন, জামিল আহমদ, প্রমুখ।